জনৈক ব্যক্তি হাদীছ অস্বীকার করে এবং বর্তমানে নবী হিসাবে কেবল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই অনুসরণীয় সেটা সে বিশ্বাস করে না। এরূপ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখা বা তার যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে কি?


হাদীছকে এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষনবী হিসাবে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফের। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল’ (নিসা ৪/৮০)। তিনি বলেন, রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৫৯/৭)। তিনিই শেষনবী। তাঁর পরে আর কোন নবী নেই। আল্লাহ বলেন, মুহাম্মাদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন। বরং তিনি আল্লাহরর রাসূল ও শেষনবী’ (আহযাব ৩৩/৪০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার ও নবীগণের উদাহরণ একটি প্রাসাদের ন্যায়, যা সুন্দরভাবে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু একখানা ইটের জায়গা খালি ছিল। আমাকে দিয়ে সেই ইটের জায়গাটি বন্ধ করা হয়েছে এবং আমাকে দিয়েই নবীদের সিলসিলা শেষ করা হয়েছে। আমি সেই ইট এবং আমিই শেষ নবী’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪৫)। আমার পরে আর কোন নবী নেই (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭৫)। প্রত্যেক নবী স্ব স্ব গোত্রের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। কিন্তু আমি মানবজাতির সকলের প্রতি, অন্য বর্ণনায় সকল সৃষ্টজীবের প্রতি প্রেরিত হয়েছি এবং আমাকে দিয়েই নবীদের আগমন সমাপ্ত করা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪৭-৪৮)।

আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমরা পৃথক বিধান ও পন্থা নির্ধারণ করেছি’ (মায়েদাহ ৫/৪৮)। ‘আর আমরা তোমাকে প্রেরণ করেছি মানবজাতির সকলের জন্য সুসংবাদ প্রদানকারী ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে’ (সাবা ৩৪/২৮)। অতএব শেষনবী আগমনের পরে বিগত সকল নবীর শরী‘আত রহিত হয়ে গেছে (ইবনু কাছীর)। যেমন বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম করে বলছি, এ উম্মতের কেউ যদি আমার আনীত দ্বীন গ্রহণ ব্যতিরেকে মৃত্যুবরণ করে, সে ইহূদী হৌক বা নাছারা হৌক, অবশ্যই সে জাহান্নামের অধিবাসী হবে’ (মুসলিম হা/১৫৩, মিশকাত হা/১০)।

যেহেতু সে কাফের, অতএব তার যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে না। তবে তার সাথে সামাজিক সম্পর্ক রাখা যাবে।

This entry was posted in হাদীছ অস্বীকার কারী ব্য‌াক্তির যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে কি?. Bookmark the permalink.