এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪১৫১)। ‘তাহনীক’ অর্থ খেজুর বা মিষ্টি জাতীয় কিছু চিবিয়ে বাচ্চার মুখে দেওয়া। হিজরতের পর মদীনায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মুহাজির সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিয়ে ‘তাহনীক’ করেছিলেন। এভাবে তিনিই ছিলেন প্রথম সেŠভাগ্যবান শিশু যার পেটে প্রথম রাসূল (ছাঃ)-এর পবিত্র মুখের লালা প্রবেশ করে। আবু ত্বালহা (রাঃ) তার সদ্যজাত পুত্রকে এনে রাসূল (ছাঃ)-এর কোলে দিলে তিনি খেজুর তলব করেন। অতঃপর তিনি তা চিবিয়ে বাচ্চার মুখে দেন ও নাম রাখেন ‘আব্দুল্লাহ’ (বুখারী হা/৫৪৭০, মুসলিম হা/২১৪৪)।কোন কোন বিদ্বান এটিকে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ করেছেন। তবে ছাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক তাহনীক করানোর বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আহমাদ হা/১২০৪৭, আবু ইয়া‘লা ৩৮৮২, সনদ ছহীহ; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৯/৩০৩)। ইমাম নববী বলেন, শিশুর জন্মের পর খেজুর দ্বারা তাহনীক করানোর বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত রয়েছে (মুসলিম, শরহ নববী ১৪/১২২-২৩)।
নবজাতক শিশুকে কোন ভালো আলেম দ্বারা তাহনীক করানোর বিষয়টি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?
This entry was posted in নবজাতক শিশুকে কোন ভালো আলেম দ্বারা তাহনীক করা যাবে কি?. Bookmark the permalink.