আছারটির মধ্যেকার দো‘আটি ছহীহ হ’লেও (আবুদাউদ হা/৩৮৯৩; মিশকাত হা/২৪৭৭) ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ)-এর আমলের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা যঈফ (আলবানী, আল-কালিমুত তাইয়্যিব হা/৪৯)। এছাড়া এর বিরুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ বিদ্যমান রয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকাবে আল্লাহ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন এবং যে কড়ি লটকাবে আল্লাহ যেন তাকে আরোগ্য দান না করেন’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/৪৯২)। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোন কিছু লটকাবে তার দায়-দায়িত্ব তার উপরেই বর্তাবে’ অর্থাৎ আল্লাহ তার কোন দায়িত্ব নিবেন না’ (আবুদাঊদ, সনদ হাসান; মিশকাত হা/৪৫৫৬ ‘চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক’ অধ্যায়)।
আবুদাঊদ হা/৩৮৯৩ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) তাবীয লিখে তা সন্তানদের গায়ে লটকিয়ে দিতেন। এক্ষণে তাবীযের বিধান কি হবে?
This entry was posted in আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) তাবীয লিখে তা সন্তানদের গায়ে লটকিয়ে দিতেন কি?, তাবীজ লটকানো জায়েজ কি?, তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? and tagged তাবীয, শিরক. Bookmark the permalink.