আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন, তাবীয নয়। ঔষধের ক্রিয়া আছে, কিন্তু তাবীযের নিজস্ব কোন ক্রিয়া নেই। এটি মানুষকে আল্লাহর উপর ভরসা বিনষ্ট করে মাত্র। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৪৯২)। অন্য হাদীছে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকাবে আল্লাহ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন এবং যে কড়ি লটকাবে আল্লাহ যেন তাকে আরোগ্য দান না করেন’ (হাকেম হা/৭৫০১; আহমাদ হা/১৭৪৪০)। এছাড়া শয়তানী কোন প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত বিশুদ্ধ দো‘আসমূহ পাঠ করবে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ এবং নিয়মিত আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে সকল প্রকার বিপদ থেকে যথেষ্ট হবে (তিরমিযী, আবুদাউদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/২১৬৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৪০৬)।
আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে তাবীয বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যাবে কি?
This entry was posted in তাবীজ লটকানো জায়েজ কি?, তাবীয ও ঝাড়-ফুঁকের বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কি?, তাবীয কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে কি?, তাবীয থাকায় রাসূল (ছাঃ) একজনের বায়‘আত গ্রহণ করেননি কি?, তাবীয দিয়ে সাপের বিষ নামানো যাবে কি?, তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? and tagged তাবীয. Bookmark the permalink.