এমতাবস্থায় তাকে আটকে রাখতে হবে এবং এরূপ অন্যায় থেকে বিরত রাখতে হবে। জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। সে এমনই যে, কাউকে ফিরিয়ে দেয় না। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। সে বলল, আমি তাকে ভালোবাসি। তাই তাকে ছাড়া ধৈর্য ধারণ করতে পারব না। তিনি বললেন, তাহ’লে তাকে আটকে রাখ এবং তার থেকে স্বাদ আস্বাদন কর’ (আবুদাঊদ হা/২০৪৯; নাসাঈ হা/৩২২৯; মিশকাত হা/৩৩১৭ ‘বিবাহ’ অধ্যায় ‘লি‘আন’ অনুচ্ছেদ)। আটকে রেখেও যদি তাকে বিরত রাখা না যায়, তাহ’লে অবশ্যই তাকে তালাক দিতে হবে। নইলে জেনে-শুনে এরূপ মহিলাকে নিয়ে ঘর করলে স্বামী দাইয়ূছদের অন্তর্ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিন জন ব্যক্তির উপর আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করেছেন। (১) নিয়মিত মদ্যপায়ী (২) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (৩) দাইয়ূছ। যে তার পরিবারে ফাহেশা কাজ স্থায়ী রাখে’ (নাসাঈ হা/২৫৬২; আহমাদ হা/৫৩৭২; মিশকাত হা/৩৬৫৫; ছহীহাহ হা/৬৭৪)।
কারো স্ত্রী (কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন) যদি কোন পরপুরুষের সাথে যেনা করে ফেলে, সেক্ষেত্রে উক্ত স্বামীর করণীয় কি?
This entry was posted in মানসিক ভারসাম্যহীন নারী যেনা করলে তার স্বামীর করণীয় কি? and tagged যেনা / যৌন, স্বামী-স্ত্রী. Bookmark the permalink.