যাবে না। কারণ জমির সাথে ফলদার বৃক্ষ রয়েছে, যা মূল লক্ষ্য। জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কয়েক বছরের জন্য জমি বিক্রি ও কয়েক বছরের জন্যে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫৩৬; মিশকাত হা/২৮৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৩২)। এছাড়া এটা ফল পাকার পূর্বে জমি বিক্রয়ের নামান্তর, যে ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বলত, আল্লাহ তা‘আলা যদি ফল নষ্ট করে দেন, তবে কিসের বিনিময়ে তোমার ভাইয়ের মাল গ্রহণ করবে’? (বুখারী হা/২২০৮; মুসলিম হা/১৫৫৫)। অতএব এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়। বরং গাছ সমূহের আম ‘মুযারাবা’ অংশীদারী চুক্তিতে বর্গা দিতে হবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/২৫৩৪-৩৫; ইরওয়া ৫/২৯২, হা/১৪৬৯-এর আলোচনা ‘মুযারাবা’ অনুচ্ছেদ)। অর্থাৎ জমির মালিক ও ফলের ক্রেতার মধ্যে লাভ-লোকসান অংশীদারী ভিত্তিতে ব্যবসায়িক চুক্তি হবে।
এক বা একাধিক বছরের জন্য আমবাগানের জমি লীজ দেওয়া যাবে কি? উল্লেখ্য, এখানে আম গাছ ছাড়া অন্য কোন ফসল হওয়ার ব্যবস্থা নেই।
This entry was posted in আমবাগানের জমি এক বা একাধিক বছরের জন্য লীজ দেওয়া যাবে কি? and tagged কঠ / বন্ধক / লীজ / বর্গা, জমি. Bookmark the permalink.