এরূপ দো‘আ করার কোন সুযোগ নেই। কারণ এর মাধ্যমে জান্নাতে পরপুরুষের স্ত্রীর সঙ্গ কামনা করা হবে, যা গুনাহের শামিল। বরং নেককার স্বামী তার নিজ স্ত্রীর সঙ্গ লাভের জন্য দো‘আ করতে পারে। কারণ সতী-সাধ্বী নারী তার নেককার স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। মায়মূন বিন মেহরান বলেন, মু‘আবিয়া (রাঃ) উম্মুদ্দারদাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তিনি বলেন, আমি আবুদ্দারদাকে বলতে শুনেছি, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নারী তার সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে। আর আমি আবুদ্দারদার বিপরীতে আপনাকে বেছে নিব না (ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/১২৮১)। হুযায়ফা (রাঃ) স্বীয় স্ত্রীকে বলেন, ‘তুমি যদি জান্নাতে আমার স্ত্রী থাকতে চাও, তাহ’লে আমার মৃত্যুর পরে কাউকে বিবাহ করো না। কেননা নারীরা পৃথিবীর সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে। আর এজন্য আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় রাসূলের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীদের জন্য অন্যত্র বিবাহ হারাম করে দিয়েছেন। কারণ তারা রাসূল (ছাঃ)-এর জান্নাতেরই স্ত্রী (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৩১৩০; ছহীহাহ হা/১২৮১-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
একজন নারীকে আমি মনে মনে পসন্দ করতাম এবং বিবাহের ইচ্ছা পোষণ করতাম। কিন্তু তার অন্যত্র বিবাহ হয়ে যায়। এক্ষণে আমি কি জান্নাতে আমার সাথে তাকে একত্রিত করার ব্যাপারে দো‘আ করতে পারি?
This entry was posted in জান্নাতে আমার সাথে অন্যের স্ত্রীকে পাওয়ার ব্যাপারে দো‘আ করতে পারি? and tagged জান্নাত/জাহান্নাম, স্বামী-স্ত্রী. Bookmark the permalink.