তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণ ও তত্ত্বাবধানের প্রধান দায়িত্ব তার সন্তানদের। অতঃপর তার ভাইদের। অতঃপর সর্বাধিক নিকটবর্তী আত্মীয়গণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন থেকে ভক্ষণ কর’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৩০, মিশকাত হা/৩৩৫৪)। এছাড়া নিকটতম রক্তসম্পর্কীয়দের মধ্যে ভাইয়ের গুরুত্ব সর্বাধিক। জাবের (রাঃ) তার ছোট বোনদের দেখাশুনার জন্য একজন তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে বিবাহ করলে রাসূল (ছাঃ) তার প্রশংসা করেন (বুখারী হা/৬৩৮৭; মুসলিম হা/৭০১৫; মিশকাত হা/৩০৮৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার তিনটি মেয়ে বা তিনটি বোন থাকে অথবা দু’টি মেয়ে বা দু’টি বোন থাকে। আর সে যদি তাদের সাথে সব সময় সদাচরণ করে এবং তাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে, তবে তার জন্য রয়েছে জান্নাত (আহমাদ হা/১২৬১৫; ছহীহাহ হা/২৯৫)। রাসূল (ছাঃ) বোনের মানত ভাই পূরণ করবে মর্মে নির্দেশনা দিয়েছেন (নাসাঈ হা/২৬৩২; আহমাদ হা/২১৪০)। তবে ভাই বা রক্তসম্পর্কিত নিকটাত্মীয় না থাকলে সমাজ বা সরকার তাদের দায়িত্ব বহন করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি তারা ঝগড়া করে, তাহ’লে সরকার ঐ ব্যক্তির অভিভাবক হবে, যার কোন অভিভাবক নেই’ (আবুদাঊদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১)।
শরী‘আতে তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কার? বিশেষত পিতা-মাতার অবর্তমানে সে কারু নিকটে ভরণ-পোষণের খরচ পাওয়ার অধিকার রাখে কি?
This entry was posted in তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কার? and tagged তালাক / খোলা, দায়িত্ব-কর্তব্য, বিধবা. Bookmark the permalink.