বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন অনুযায়ী কুরআন শেখা এবং সে চিহ্ন অনুযায়ী কুরআন পড়া জায়েয হবে কি?


কুরআনকে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতের জন্য যেকোন বৈধ পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন কুরআনকে সহজে তেলাওয়াতের জন্য ছাহাবী ও তাবেঈদের যুগে নোকতা ও হরকত সংযোজন করা হয় (যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৬/৫০৩; যুরক্বানী, মানাহিলুল ইরফান ১/৪০৬-৪০৭)। কিন্তু বর্তমানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিখানোর নামে যা করা হচ্ছে, তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে। এগুলি থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিন আরব ও অনারব উভয় ব্যক্তিদের মজলিসে তেলাওয়াত শুনছিলেন। অতঃপর তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা পাঠ কর। সবটাই সুন্দর। মনে রেখ সত্বর একদল লোক আসবে, যারা কুরআনের পাঠ ঠিক করবে যেভাবে তীর ঠিক করা হয়। তারা দুনিয়াতেই দ্রুত ফল চাইবে, আখেরাতের অপেক্ষা করবে না’ (আবুদাঊদ হা/৮৩০; মিশকাত হা/২২০৬)। অর্থাৎ লোক দেখানো ও শুনানোই সেখানে মুখ্য হবে।

This entry was posted in কুরআন বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন অনুযায়ী পড়া জায়েয হবে কি? and tagged . Bookmark the permalink.