বিভিন্ন কারণে শেয়ার বেচাকেনা জায়েয নয়। যেমন- (১) ক্রেতার অনেক সময় সম্যক জ্ঞান থাকে না কী বস্ত্তর শেয়ার তিনি ক্রয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (মুসনাদে ইবনুল জা‘দ হা/৩৩১৯; গায়াতুল মারাম হা/৩১৮)। (২) যে বস্ত্তর শেয়ার কেনা-বেচা হয়, তা দেখা ও জানা-বুঝার সুযোগ এখানে থাকে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন ক্রয়-বিক্রয়কে ধোঁকা বলেছেন (মুসলিম হা/১০২; মিশকাত হা/২৮৬০)। (৩) শেয়ার ব্যবসার পণ্য আয়ত্ত্বে নিয়ে আসার সুযোগ থাকে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বস্ত্ত ক্রয়ের পর তা নিজ মালিকানায় নিয়ে আসার পূর্বে বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/২১৩৫; মিশকাত হা/২৮৪৬)। (৪) শেয়ার ব্যবসা একটি জুয়া মাত্র। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মাল দেখে না। অথচ ঘণ্টায় ঘণ্টায় দর উঠা-নামা হয়। (৫) শেয়ার ব্যবসায় ফটকাবাজারীর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। অনেক সময় কোম্পানী তার প্রকৃত তথ্য গোপন রাখে। কখনো লোকেরা কোম্পানীতে শেয়ার কিনে অধিক লাভ করে। কখনো কারখানা তৈরি না করেই তার শেয়ার বাজারে ছাড়া হয় এবং নতুন শেয়ারে অধিক লাভ মনে করে সেটিকে লোকেরা অধিক মূল্যে খরিদ করে। কোনরূপ ব্যবসা বা মালামাল ছাড়াই তারা এ লাভ করে থাকে। এছাড়াও নিত্যনতুন ছলচাতুরী শেয়ারবাজারে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। (৬) এতে সূদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ শেয়ার ব্যবসা ব্যাংক থেকে সূদের ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। অতএব শেয়ার ব্যবসা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আমি শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করি। বৈধ কার্য পরিচালনাকারী কোম্পানী দেখে শেয়ার ক্রয় করি। লাভ-লোকসান সবটাই মেনে নেই। প্রতি বছর নিয়মিতভাবে যাকাত আদায় করি। এক্ষণে উক্ত ব্যবসা জায়েয হবে কি?
This entry was posted in শেয়ার ব্যবসা জায়েয হবে কি? and tagged ব্যবসা, শেয়ার ব্যবসায়. Bookmark the permalink.