রাসূল (ছাঃ) যেক্ষেত্রে যে দো‘আ পাঠের নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনরূপ কমবেশী ছাড়া হুবহু তার অনুসরণ করতে হবে (বুখারী হা/২৪৭)। বিভিন্ন গ্রন্থে দুর্বল সূত্রে আযানের দো‘আয় বিভিন্ন বাক্য এসেছে, যা আমলযোগ্য নয়। যেমন বায়হাক্বীতে (১ম খন্ড ৪১০ পৃঃ) বর্ণিত আযানের দো‘আর শুরুতে ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি হাকক্বে হা-যিহিদ দাওয়াতে’ (শায) (২) একই হাদীছের শেষে বর্ণিত ‘ইন্নাকা লা তুখ্লিফুল মী‘আ-দ (শায) (৩) ইমাম ত্বাহাভীর ‘শারহু মা‘আনিল আছার’-য়ে বর্ণিত ‘আ-তি সাইয়িদানা মুহাম্মাদান’ (মুদরাজ ও শায) (৪) ইবনুস সুন্নীর ‘ফী ‘আমালিল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ’তে ‘ওয়াদ্দারাজাতার রাফী‘আতা’ (বানোয়াট ও সংযোজন) (৫) রাফেঈ প্রণীত ‘আল-মুহার্রির’-য়ে আযানের দো‘আর শেষে বর্ণিত ‘ইয়া আরহামার রা-হিমীন’ (ভিত্তিহীন) (৬) আযানের দো‘আয় যোগ করা ‘ওয়ারঝুক্বনা শাফা‘আতাহূ ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাহ’ (বানোয়াট) (৭) শেষে লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা-হ, ছাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলা (বানোয়াট) (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/২৪৩, পৃঃ ১/২৬০-৬১; ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ১/৫১৮ পৃঃ; মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী, মিরক্বাত ২/১৬৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ পৃঃ ১/৯২)। অতএব এসব পরিত্যাজ্য (দ্র: ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৮-৭৯ পৃঃ)।
আযানের দো‘আ হিসাবে আমাদের দেশে যে অতিরিক্ত অংশ পাঠ করা হয় তা সঠিক কি?
This entry was posted in আযানের দো‘আ হিসাবে যে অতিরিক্ত অংশ পাঠ করা হয় তা সঠিক কি? and tagged আযান, দো‘আ. Bookmark the permalink.