জিন ও ইনসানকে কবরের আযাব শ্রবণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কেননা আল্লাহ বলেন, আর তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’ (মুমিনূন ২৩/১০০)। রাসূল (ছাঃ) পাপী কবরবাসীর কথা উল্লেখ করে বলেন, অতঃপর তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে ভীষণ জোরে পিটানো শুরু হবে। তাতে সে এমন চীৎকার করতে থাকবে যে, জিন ও ইনসান ব্যতীত আশপাশের সবাই তা শুনতে পাবে’ (বুখারী হা/১৩৭৪; মুসলিম হা/২৮৭০; মিশকাত হা/১২৬)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের যদি ভয়ে কবর দেয়া পরিত্যাগ করার আশংকা না থাকত, তাহ’লে আমি আল্লাহর নিকটে দো‘আ করতাম যেন তোমাদেরকে কবরের আযাব শুনানো হয়, যা আমি শুনতে পাচ্ছি’ (মুসলিম হা/২৮৬৮; মিশকাত হা/১২৯)। রাসূলকে আল্লাহ শুনিয়েছেন বলেই তিনি শুনতে পেয়েছেন। নইলে মানুষ হিসাবে তাঁর পক্ষেও এগুলি শোনা সম্ভব ছিল না (কাহফ ১৮/১১০)। এতদ্ব্যতীত কবরের বিষয়গুলি অদৃশ্য জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যদি তা শ্রবণযোগ্যই হ’ত, তবে তা অদৃশ্য জ্ঞান হিসাবে গণ্য হ’ত না। অতএব উক্ত বক্তা কর্তৃক কবরের আযাবের চিৎকার ধ্বনি শোনানো স্রেফ কাল্পনিক ব্যাপার মাত্র; যার কোন ভিত্তি নেই।
জনৈক মুফতী একটি সমাবেশে কবরের আযাবের রেকর্ডকৃত ক্রন্দনধ্বনি শুনিয়েছেন। এক্ষণে কবরের আযাব শ্রবণ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব কী?
This entry was posted in কবরের আযাব শ্রবণ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব কী? and tagged আযাব, কবর / গোরস্থান. Bookmark the permalink.