এজন্য প্রথমে অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় উক্ত পাপ না করার দৃঢ় প্রত্যয়ে তওবা করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা হদযোগ্য পাপ থেকে দূরে থাক। যে ব্যক্তি এর শিকার হবে সে যেন তা গোপন রাখে এবং আল্লাহর নিকট তওবা করে। কেননা কারো অপরাধের কথা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়ে গেলে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী আমরা হদ জারী করব (হাকেম হা/৭৬১৫; ছহীহাহ হা/৬৬৩)। আর নিজে পুত-পবিত্র হয়ে যাওয়ার পর কোন সতী নারীকে বিবাহ করায় কোন বাধা নেই। কুরআনে এসেছে, ‘আর ব্যভিচারী পুরুষ বিয়ে করতে পারে না ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারীকে ব্যতীত। (অনুরূপভাবে) ব্যভিচারিণী নারী বিয়ে করতে পারে না ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষকে ব্যতীত (যে ব্যভিচারকে হারাম মনে করে না)। মুমিনদের উপর এটা হারাম করা হয়েছে’ (নূর ২৪/৩)। এই আয়াতের অর্থ ব্যভিচারী পুরুষেরাই কেবল ব্যভিচারী নারীদের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, যদি সে তওবা করে তবেই কেবল উক্ত নারী বা পুরুষের সাথে অন্য মুমিন পুরুষ বা নারীর বিবাহ সিদ্ধ হবে, নইলে নয়’ (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা নূর ৩ আয়াত)।
আমি হদযোগ্য বড় গুনাহ করে ফেলেছি। এক্ষণে আমার জন্য করণীয় কি? কুরআনী ঘোষণা অনুযায়ী কি আমার জন্য পুত-পবিত্র নারীকে বিবাহ করা হারাম?
This entry was posted in হদযোগ্য গোনাহ করলে পুত-পবিত্র নারীকে বিবাহ করা হারাম কি?, হদযোগ্য বড় গুনাহ করে ফেললে করণীয় কি? and tagged গোনাহও, হদযোগ্য. Bookmark the permalink.