গুনাহগার হ’তে হবে। কারণ মন্দির ও শ্মশান নির্মাণে সহযোগিতা করার অর্থই হ’ল শিরকী কাজে সহযোগিতা করা, যা হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৪/৪৮২)। ওমর (রাঃ) সিরিয়ার খৃষ্টানদের সাথে সন্ধি করার সময় শর্তারোপ করেছিলেন যে, সেখানে গির্জা বা মন্দির নির্মাণ করা যাবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৮/৬৫২; জামেঊর রাসায়েল ১/১০৪; ইক্বতিযাউছ ছিরাতিল মুসতাক্বীম ১/১৯৯)। ছালেহ আল-ফাওযান বলেন, গির্জা-মন্দির ও অনুরূপ শিরকপূর্ণ ও গায়রুল্লাহর ইবাদত করা হয় এমন স্থানে কাজ করা মুসলমানের জন্য জায়েয নয়। কেননা এতে বাতিলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তাদের সহযোগিতা করা হয় (আল-মুনতাকা ৫/৪০)&। এছাড়াও ইমাম শাফেঈ, ইবনু তায়মিয়াহ ও ইবনু কুদামা (রহঃ) প্রমুখ বিদ্বানগণ এসব স্থানে কোনভাবে সম্পৃক্ত হওয়াকে হারাম বলেছেন (কিতাবুল উম্ম ৪/২২৫; সুবকী ২/৩৬৯)। অতএব এমন চাকুরী পরিত্যাগ করতে হবে।
আমি সরকারী চাকুরীজীবি। আমাদের অফিস থেকে মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান ইত্যাদির ধর্মীয় অবকাঠামো নির্মাণ করার নির্দেশনা ও ব্যয়ভার বহন করতে হয়। যার জন্য আমাকে ফাইলে স্বাক্ষর করতে হয়। এক্ষেত্রে আমি গোনাহগার হব কি?
This entry was posted in কবরস্থান মন্দির ধর্মীয় অবকাঠামো নির্মাণ করার নির্দেশনায় স্বাক্ষর যাবে কি? and tagged চাকুরি, ধর্ম. Bookmark the permalink.