ওলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ হ’লেও সেটি বিবাহের অনুরূপই (শিবহে নিকাহ) ছিল। সুতরাং যদি তাকে তিন তুহ্রে তিন তালাক দেওয়া হয়ে থাকে, তাহ’লে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন উপায় নেই। ইবনু কুদামা বলেন, মতপার্থক্যপূর্ণ বিবাহের ক্ষেত্রে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। যেমন ওলীর অনুমতি ব্যতীত বিবাহ (আল- মুক্বনি‘ ফী ফিক্বহে ইমাম আহমাদ ১/৩৩৪; ইবনুল মুফলেহ, আল-মুবদী‘ ৬/২৯৯)। ইমাম আহমাদকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, তালাক হয়ে যাবে। অতএব অন্যত্র বিবাহ হওয়ার পর তালাকপ্রাপ্তা না হ’লে ফিরিয়ে নিতে পারবে না (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ ২/৩৩৮, মাসআলা নং ৯৭৫)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)ও অনুরূপ ফৎওয়া দিয়েছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৯৯-১০০)।
আমার ও আমার স্ত্রীর মাঝে বিবাহপূর্ব প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে আমরা নিজে নিজে বিয়ে করি মেয়ের পিতার বিনা অনুমতিতে। তখন আমি ছহীহ হাদীছ ও ছহীহ দ্বীনও জানতাম না। পারিবারিক এবং নিজেদের কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে আমি তাকে তালাকও দিয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি মেয়ে সন্তান আছে। আমার প্রশ্নটা যেহেতু ওলীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে বাতিল, তাহ’লে আমি যে তাকে তালাক দিয়েছি এই তালাক কি গ্রহণযোগ্য হবে? আমি কি তাকে ফিরিয়ে নিতে পারব আবার তার ওলীর উপস্থিতিতে বিয়ের মাধ্যমে? না সে আমার জন্য হারাম? আমি আল্লাহকে ও তাঁর আযাবকে ভয় পাই। আমি কোন সুবিধা পাবার জন্য প্রশ্নটা করিনি। সঠিক ফৎওয়া জেনে সঠিক পথ অবলম্বন করতে চাই। যাতে করে আমার পক্ষ থেকে তার উপর যুলুম না হয়।
This entry was posted in অভিভাবকের বিনা অনুমতিতে বিবাহ করলে বিবাহ হবে কী এবং সম্পদ পাবে কী?, অভিভাবক বা ওলী না থাকলে করণীয়!, বিবাহ ওলীর অনুমতি ছাড়া করে তালাক দিলে তালাক হবে কি? and tagged তালাক / খোলা, বিবাহ. Bookmark the permalink.