স্ত্রী রাযী থাকলে তা মোহরানা হিসাবেই গণ্য হবে। নিয়ত পরিবর্তন মূখ্য বিষয় নয়; বরং স্ত্রীর সম্মতি থাকাটিই মুখ্য বিষয়। কারণ মোহরানার মালিক স্ত্রী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর (নিসা ৪/৪; বাক্বারাহ ২/২৩৭)। উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ের ভিত্তিতে ইবনু কুদামাহ বলেন, স্ত্রী যদি তার অধিকারভুক্ত মোহর সন্তুষ্টি চিত্তে পুরোটা বা কিছু অংশ মাফ করে দেয় বা গ্রহণের পর স্বামীকে দান করে তবে জায়েয এবং শুদ্ধ। এ ব্যাপারে কোন মতভেদ আছে বলে আমার জানা নেই (আল-মুগনী ৭/২৫৫)।
আমি বিবাহের সময় মোহরানা দিতে পারিনি। কয়েক বছর পর আমার স্ত্রীর জন্য একটি স্বর্ণের গহনা তৈরী করে তাকে দেই। কিন্তু দেওয়ার সময় মোহরানা হিসাবে দেওয়ার নিয়ত ছিল না। পরে তাকে বলি এটি তোমার মোহরানা একটি অংশ। এক্ষণে নিয়ত পরিবর্তন করে মোহরানা পরিশোধ করা যাবে কী?
This entry was posted in বিবাহের পর স্বর্ণের গহনা তৈরী করে দেওয়াটা কি মোহরানার মধ্যে পড়ে? and tagged বিবাহ, মোহরানা. Bookmark the permalink.