হাদীছটির অনুবাদ হ’ল, বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক যুবতী নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, আমার পিতা তার ভ্রাতুষ্পুত্রকে তার দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য আমাকে তার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিষয়টি মেয়েটির এখতিয়ারে ছেড়ে দেন। মেয়েটি বলল, আমার পিতা যা করেছেন তা আমি বহাল রাখলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েরা জেনে নিক যে, বিবাহের ব্যাপারে পিতাদের কোন একক এখতিয়ার নেই (আহমাদ হা/২৫০৮৭; ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৪; দারাকুৎনী হা/৩৬০১; তারাজু‘আতে আলবানী হা/১১৪; সনদ ছহীহ)। অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা একক ক্ষমতাবলে বিবাহ দেবেন না। বরং মেয়ের অনুমতি নিয়ে বিবাহ দিবেন। অন্য হাদীছে এসেছে, যে মেয়ে তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১৩১)। উভয় হাদীছের সমন্বয় এই যে, সাবালিকা মেয়ের সম্মতি সাপেক্ষে পিতা তার বিবাহ চূড়ান্ত করবেন। মেয়ের অসম্মতিতে বিয়ে সিদ্ধ হবে না।
মুসনাদ আহমাদ ২৫০৮৭ নং হাদীছে বলা হয়েছে যে, নারীরা বিবাহের ব্যাপারে একক অধিকার রাখে। এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।
This entry was posted in বিবাহের ব্যাপারে নারীরা একক অধিকার রাখে। এর ব্যাখ্যা কি? and tagged নারী, বিবাহ. Bookmark the permalink.