শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আত হ’ল উছূলে হাদীছের দু’টি পরিভাষা। একই হাদীছ ভিন্ন ভিন্ন ছাহাবী থেকে বর্ণিত হ’লে হাদীছগুলি পরস্পরের জন্য ‘শাহেদ’। হ’তে পারে প্রথম সনদে কোন দুর্বল রাবী রয়েছে, কিন্তু অন্য ছাহাবী থেকে বর্ণিত দ্বিতীয় বা তৃতীয় সনদে হাদীছটি শক্তিশালী রাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে। ফলে একই মর্মে বর্ণিত হাদীছের শক্তিশালী সনদগুলি দুর্বল সনদটির জন্য শাহেদ হিসাবে গণ্য হবে এবং মূল হাদীছটি ছহীহ হিসাবে গণ্য হবে। আর মুতাবা‘আত হ’ল একই ছাহাবী হ’তে দুই বা ততোধিক সূত্রে বর্ণিত হাদীছ। এক্ষেত্রে একটি সূত্র দূর্বল হ’লেও অপর সূত্রটি ছহীহ হ’লে সেটি প্রথম সূত্রটির জন্য ‘মুতাবা‘আহ’ হিসাবে গণ্য হবে। ফলে হাদীছটির একটি সূত্র দূর্বল হ’লেও অপর শক্তিশালী মুতাবা‘আত থাকার কারণে সেটি ছহীহ বলে গণ্য হবে।
অনেক হাদীছের শেষে সনদ যঈফ লেখা সত্ত্বেও বলা হয় যে, তবে হাদীছটির একাধিক শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আত থাকার কারণে এটি ছহীহ। এর ব্যাখ্যা কি?
This entry was posted in হাদীছ যঈফ হওয়া সত্ত্বেও ছহীহ হয় কিভাবে? and tagged হাদীছ. Bookmark the permalink.