এ মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ ব্যতীত সকল সৃষ্টজীব ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সবই ধ্বংসশীল। কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা (রহমান ৫৫/২৬-২৭)। এছাড়া ক্বিয়ামতের পূর্বে কা‘বা ধ্বংস হয়ে যাবে মর্মে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি যেন দেখতে পাচ্ছি কাল বর্ণের বাঁকা পা বিশিষ্ট লোকেরা (কা‘বা ঘরের) একটি একটি করে পাথর খুলে এর মূলোৎপাটন করছে’ (বুখারী হা/১৫৯৫; মিশকাত হা/২৭২২)। এমনকি সে সময় কুরআন থাকবে কিন্তু কুরআনে কোন লেখা থাকবে না। মানুষের স্মৃতি থেকে কুরআন উঠিয়ে নেওয়া হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, (ক্বিয়ামতের পূর্বে শেষ যামানায়) একরাতে পৃথিবী থেকে আল্লাহর কিতাব বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং একটি আয়াতও অবশিষ্ট থাকবে না। মানুষের কতক দল অবশিষ্ট থাকবে তাদের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা বলবে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর অনুসারী দেখতে পেয়েছি। সুতরাং আমরাও সেই বাক্য বলতে থাকব’ (ইবনু মাজাহ হা/৪০৪৯; দারেমী হা/৩৩৪৩; ছহীহাহ হা/৮৭)। সুতরাং মাদরাসা বা মসজিদ টিকে থাকার প্রশ্নই আসে না।
ক্বিয়ামতের দিন মসজিদ, মাদরাসা, কা‘বাঘর ও কুরআন মাজীদ ইত্যাদি অক্ষত থাকবে। এমর্মে বর্ণিত হাদীছের কোন সত্যতা আছে কি?
This entry was posted in ক্বিয়ামতের দিন মসজিদ মাদরাসা কা‘বাঘর অক্ষত থাকবে কি? and tagged কিয়ামত, কুরআন, মসজিদ. Bookmark the permalink.