শিঙ্গায় কে ফুঁক দিবেন মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে কিছু যঈফ হাদীছে ইস্রাফীল (আঃ)-এর নাম উল্লেখ আছে (ত্ববারাণী আওসাত্ব হা/৯২৮৩ ও অন্যান্য)। হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে। তবে তিনি ইস্রাফীল (আঃ)-এর নাম প্রসিদ্ধ হওয়ার বিষয়টিকে উল্লেখ করে হুলায়মীর বরাতে বলেন, তিনি যে ইস্রাফীল (আঃ) এ ব্যাপারে ঐক্যমত রয়েছে (ফাৎহুল বারী ১১/৩৬৮ ব্যাখ্যা)। কুরতুবী বলেন, সঠিক মত হ’ল শিঙ্গা হবে নূরের, যাতে ইস্রাফীল (আঃ) ফুঁক দেবেন। তিনি আরো দাবী করেন যে, এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমা রয়েছে (তাফসীর কুরতুবী ১৩/২৩৯, আন‘আম ৭৩ আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, বিশুদ্ধ বক্তব্য হ’ল ‘ছূর’ দ্বারা উদ্দেশ্য শিঙ্গা, যাতে ইস্রাফীল (আঃ) ফুঁক দিবেন (তাফসীরে ইবনু কাছীর ৩/২৮১, আন‘আম ৭৩ আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। ত্ববারাণী আওসাত্বে বর্ণিত হাদীছে যাতে ইস্রাফীল (আঃ)-এর নাম উল্লেখ রয়েছে, তার সনদকে হায়ছামী ও মুনযিরী ‘হাসান’ বলেছেন (মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৮৩১০; সুয়ূতী, জামে‘উল কাবীর হা/১১১; আলবানী, যঈফুত তারগীব হা/২০৮২)। হাফেয ইরাকী এহইয়াউল উলূমে বর্ণিত হাদীছের সনদকে ‘জাইয়েদ’ (ভাল) বলেছেন (তাখরীজু আহাদীছি এহইয়াই উলূমিদ্দীন হা/৪৪৫১)। এক্ষণে যেহেতু সনদের পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে, সেহেতু এক্ষেত্রে নিরাপদ পন্থা হ’ল একথা বলা যে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন ‘মালাকুছ ছূর’ অর্থাৎ এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা। যেমন আমরা ‘আযরাইল’ না বলে ‘মালাকুল মাউত’ বা মৃত্যুর ফেরেশতা বলে থাকি।
ক্বিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় কে ফুঁক দিবেন। ছহীহ হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
This entry was posted in ক্বিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় কে ফুঁক দিবেন? and tagged ক্বিয়ামত. Bookmark the permalink.