পদোন্নতির জন্য আবেদন করা যাবে। কারণ পদবী ও নেতৃত্ব এক নয়। বরং এটি একটি পদমর্যাদা, যা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির যোগ্যতা যাচাই সাপেক্ষে দিয়ে থাকে। তাছাড়া এ ধরনের দায়িত্বের জন্য কেউ নিজেকে অধিক যোগ্য ও উপযুক্ত মনে করলে আবেদন করতে পারে। যেমন ইউসুফ (আঃ) বলেছিলেন, আপনি আমাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। নিশ্চয়ই আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও (এ বিষয়ে) বিজ্ঞ’ (ইউসুফ ১২/৫৫)। অত্র আয়াতে প্রয়োজনবোধে দায়িত্ব চেয়ে নেয়ার বৈধতা প্রমাণিত হয়। অথচ হাদীছে এটি নিষেধ করা হয়েছে। এর জবাবে ইমাম কুরতুবী বলেন, (১) ইউসুফ (আঃ) জানতেন যে, সততার সাথে ধন-ভান্ডার সংরক্ষণ ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে গরীবদের হক তাদের নিকট পৌঁছে দেবার মত কেউ বাদশাহর সাথে নেই (২) ইউসুফ এখানে নিজের উন্নত মর্যাদার দোহাই দেননি। বরং নিজেকে ‘বিশ্বস্ত রক্ষক ও এ বিষয়ে বিজ্ঞ’ বলেছেন। যা ছিল বাস্তব (৩) তিনি নিজের পরিচয় এমন ব্যক্তির কাছে তুলে ধরেছেন, যিনি তাঁর সম্পর্কে জানতেন না। অতএব এটি আত্মপ্রশংসা নয়, যা নিষিদ্ধ (৪) তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণকে রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে অপরিহার্য গণ্য করেছিলেন। কেননা তিনি ব্যতীত উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত তখন কেউ ছিল না। এ কারণটিই সবচেয়ে স্পষ্ট’। মাওয়ার্দী বলেন, সাধারণভাবে দায়িত্ব চেয়ে নেওয়ার বিষয়টি এখানে নয়, বরং এটি ছিল একটি বিশেষ অবস্থা, যেখানে জ্ঞান ও যোগ্যতার বিবেচনায় দায়িত্ব চেয়ে নেওয়া যায়। যে বিষয়ে আয়াতে বর্ণিত হয়েছে (কুরতুবী; দ্রঃ নবীদের কাহিনী ১/২০৭)।
আমি সরকারী একটি পদে চাকুরী করি। এক্ষণে পদোন্নতির জন্য আবেদন করা যাবে কি? কারণ হাদীছে পদ চেয়ে নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
This entry was posted in চাকুরিতে পদোন্নতির জন্য আবেদন করা যাবে কি? and tagged চাকুরি. Bookmark the permalink.