এই ধরনের লোকদের রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন’ (মুমতাহিনাহ ৬০/৮)। অতএব আদম সন্তান হিসাবে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করাতে কোন বাধা নেই। শিরক-বিদ‘আতে জড়িত হ’লে সে নিজেই তার পাপ ভার বহন করবে, রক্তদাতা নয়। কেননা ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/১৫)। তবে সরাসরি শিরক-বিদ‘আতের কাজে তাকে সহায়তা করা যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
আমি জানি একজন ব্যক্তি সকল ধরনের শিরক-বিদ‘আতের সাথে জড়িত এবং ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু। তাকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে কি? আর যদি রক্ত দেয়ার পরে আবার শিরক করে এতে কি আমার পাপ হবে?
This entry was posted in শিরক-বিদ‘আতের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে কি? and tagged বিদ'আত, শিরক. Bookmark the permalink.