মসজিদের ইমাম চলে গেলে বা ছুটিতে থাকলে স্থানীয় শারঈ জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি (যিনি ইতিপূর্বে উক্ত মসজিদে ৩০ বছর ইমাম ছিলেন) সঠিক সময়ে আযান দেন ও ইমামতি করেন। কিন্তু দ্বন্দ্ব ও হিংসার কারণে কিছু লোক আউয়াল ওয়াক্তে তার ইমামতিতে মূল জামা‘আতে অংশ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। তারা দ্বিতীয় জামা‘আত করে বা একা একা ছালাত আদায় করে। এক্ষণে তাদের ছালাতের অবস্থা কী হবে?


হিংসা-বিদ্বেষের কারণে ছালাতের জামা‘আত ত্যাগ করা নিষিদ্ধ। প্রত্যেক মুছল্লীর জন্য কর্তব্য হ’ল জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা। এমনকি পূর্বে ছালাত আদায় করে থাকলেও জামা‘আত হ’তে দেখলে পুনরায় তাতে অংশগ্রহণ করবে। তার শেষের ছালাত নফল হয়ে যাবে (মুসলিম হা/৬৪৮; মিশকাত হা/৬০০)। তাছাড়া হিংসা-বিদ্বেষের ফলে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে, যা জামা‘আতবদ্ধ জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আর এটি করা হারাম (মুসলিম হা/১৮৪৮-৫২; মিশকাত হা/৩৬৭৭)। প্রশ্নমতে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম জামা‘আত ত্যাগ করে ছালাত আদায় করবে, তাদের ছালাত হয়ে যাবে। কিন্তু জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে গোনাহগার হবে।

This entry was posted in ছালাতের জামা‘আত ত্যাগ করলে হিংসা-বিদ্বেষের কারণে তাদের অবস্থা কি হবে? and tagged , . Bookmark the permalink.