ইসলামী বিধানে সূর্যাস্তের পর থেকে দিবস গণনা শুরু হয়। অতএব যে সময় সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে সেখান থেকে চল্লিশতম দিনের উক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এর পরেও নিফাস চলতে থাকলে ইস্তেহাযা মনে করে পবিত্র হয়ে ছালাত আদায় করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ৪১/৮)। উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময় নিফাসগ্রস্ত হওয়ার (অর্থাৎ সন্তান ভূমিষ্টের) পর মহিলারা চল্লিশ দিন বা চল্লিশ রাত অপেক্ষা করতেন’ (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বে মায়ের কোন রক্ত প্রবাহিত হ’লে তা নিফাস হিসাবে গণ্য হবে না। বরং তা ইস্তিহাযা বা প্রদর রোগ হিসাবে গণ্য হবে এবং সেজন্য পবিত্র অবস্থায় পালনীয় যাবতীয় ইবাদত পালন করতে হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৪১/৮)।
রাত ১১ ঘটিকায় আমার সন্তান জন্মলাভ করেছে। এক্ষণে আমি নিফাসের গণনা কখন থেকে শুরু করব। আগের দিন না পরের দিন থেকে?
This entry was posted in নিফাসের গণনা কখন থেকে শুরু করতে হয়? and tagged হায়েয / নিফাস / মাসিক / ঋতুবতী. Bookmark the permalink.