ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধার জন্য নয় বরং প্রস্তাবিত নারীরা আবু জাহলের বংশধর ছিল বলে রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বিবাহের অনুমতি দেননি। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, বনু হিশাম ইবনু মুগীরা আলীর কাছে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিব না, আমি অনুমতি দিব না, আমি অনুমতি দিব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আলী আমার কন্যাকে তালাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে বিবাহ করতে পারে। কেননা ফাতেমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে, আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়’ (বুখারী হা/৫২৩০; মুসলিম হা/২৪৪৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আলী (রাঃ) আবু জাহলের মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা একত্রিত হ’তে পারে না’ (বুখারী হা/৩১১০; মুসলিম হা/২৪৪৯)। উল্লেখ্য যে, আলী (রাঃ) ফাতেমা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর একই সময়ে চারজন রেখে ক্রমান্বয়ে মোট আটজন নারীকে বিবাহ করেছিলেন।
আলী (রা:)-এর সাথে ফাতেমা (রাঃ)-এর বিবাহের পর মুহাম্মাদ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে একাধিক বিবাহ করতে নিষেধ করেছিলেন, যাতে ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধা না হয়। এটা কি সত্য?
This entry was posted in আলী (রা:) কে একাধিক বিবাহ করতে নিষেধ করেছিলেন কেনো? and tagged বিবাহ. Bookmark the permalink.