খুৎবা চলাকালীন ইমাম ও মুক্তাদীদের হাত তুলে মুনাজাত করা বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে হাত উত্তোলন করে দো‘আ করেননি। কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য হাত তুলে দো‘আ করেছিলেন। বর্তমানেও এরূপ পরিস্থিতি আসলে দো‘আ করতে পারে। কিন্তু এটিকে দলীল হিসাবে নিয়ে নিয়মিত খুৎবায় হাত তুলে দো‘আ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর পরে কোন ছাহাবী এভাবে দো‘আ করেননি। অথচ রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নে ছাহাবীগণই অধিক অগ্রগামী ছিলেন (নববী, শারহু মুসলিম হা/৮৭৪-এর আলোচনা ৬/১৬২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩৩৯)। বরং কেউ খুৎবায় হাত উত্তোলন করে মুনাজাত করলে ছাহাবায়ে কেরাম বাধা দিয়েছেন বলে দলীল পাওয়া যায়। যেমন একদিন বিশর ইবনু মারওয়ান জুম‘আর খুৎবা প্রদানকালে দো’আ করার সময় উভয় হাত উপরে তুললেন। এতে ছাহাবী উমারা বললেন, আল্লাহ এই বেঁটে হাত দু’টিকে কুৎসিত করুন। আমি নিশ্চিতরূপে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে দেখেছি, তিনি নিজের হাত দিয়ে (ইশারা)-এর বেশী কিছু করতেন না (মুসলিম হা/৫৩; তিরমিযী হা/৫১৫; আবুদাউদ হা/১১০৪; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৯৩, সনদ ছহীহ)। তবে ইমাম যদি দো‘আ পাঠ করেন আর মুছল্লীরা নিম্নস্বরে আমীন বলে তবে তাতে কোন দোষ নেই। কারণ এটা দো‘আ কবুলের সময় বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (ঊছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ১/৬৯৫)।
আমাদের মসজিদের ইমাম জুম‘আর খুৎবার শেষে মিম্বারে থাকা অবস্থায় ছালাতের আগে মুছল্লীদের নিয়ে দু’হাত তুলে সম্মিলিত দো‘আ করেন। এভাবে দো‘আ করা কি জায়েয?
This entry was posted in জুম‘আর খুৎবার শেষে দু’হাত তুলে সম্মিলিত দো‘আ করা যাবে কি? and tagged জুম‘আ/খুৎবা, মোনাজাত. Bookmark the permalink.