উক্ত টাকা যাকাত হিসাবে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ যাকাতের বিধান হ’ল ধনীদের নিকট থেকে নিয়ে তা গরীবদের মাঝে বিতরণ করা (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭৭২)। এখানে সেটি নেই। তাছাড়া ঋণগ্রহীতা এক্ষেত্রে যাকাতের হকদার নাও হ’তে পারে। আর যদি হকদার হয়ও তবুও এ কাজটি মূলতঃ নিকৃষ্ট সম্পদই যাকাত হিসাবে দেওয়ার সমতুল্য হবে। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা সেখান থেকে নিকৃষ্ট বস্ত্ত ব্যয় করার সংকল্প করো না’ (বাক্বারাহ ২/২৬৭)। অতএব প্রয়োজনে ঋণগ্রহীতাকে আরো সময় দিতে পারে অথবা হকদার হিসাবে তাকে যাকাতের সম্পদ থেকে দিতে পারে। পরে ঋণগ্রহীতা সেই অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করলে তা গ্রহণে কোন দোষ নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২১০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/২৮০-৮১)।
অনেক পাওনাদার টাকা দিতে না পারলে যাকাত থেকে টাকা কেটে রাখতে অনুরোধ জানায়। তাছাড়া যে টাকা দেয় তার নিয়ত থাকে, যদি কোন পাওনাদার টাকা দিতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে উক্ত টাকা যাকাত থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। এটা জায়েয হবে কি?
This entry was posted in পাওনাদার টাকা দিতে না পারলে যাকাত থেকে টাকা কেটে রাখা যাবে কি? and tagged ঋণ, যাকাত/ ফিৎরা. Bookmark the permalink.