বিসমিল্লাহ বলেই নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবে। তাছাড়া বাড়ি উদ্বোধনকালে বিশেষ কোন দো‘আ বর্ণিত হয়নি। তবে আল্লাহর নে‘মতের শুকরিয়াস্বরূপ নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করা যায়। যেমন مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلا بِاللهِ ‘মা-শা’আল্লাহ লা-কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ’ (আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়েছে। আল্লাহর তাওফীক ছাড়া কোন শক্তি নেই) (কাহফ ৩৯, আহমাদ হা/৮৪২৬)। এছাড়াও পড়া যেতে পারে الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ ‘আলহাম্দু লিল্লাহিল্লাযী বিনি‘মাতিহি তাতিম্মুছ ছ-লিহা-তু’ (সে আল্লাহর প্রশংসা, যাঁর অনুগ্রহে সৎ কার্য সুসম্পন্ন হয়) (ইবনু মাজাহ হা/৩৮০৩, সনদ হাসান)। এছাড়া যাবতীয় অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চেয়ে পড়া যায় أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ، ‘আঊ-যু বিকালিমাতিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন’ (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হ’তে পানাহ চাচ্ছি) (বুখারী হা/৩৩৭১)। অনুরূপভাবে শয়তান বিতাড়নের জন্য সূরা বাক্বারাও পাঠ করা যায় (মুসলিম হা/৭৮০)। আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায়স্বরূপ নতুন বাড়ি উদ্বোধনকালে আলেম-ওলামা, নেককার ব্যক্তি বা পাড়া-প্রতিবেশীদের দাওয়াত করে খাওয়ানো যায়। রাসূল (ছাঃ) সফর থেকে মদীনায় ফিরলে একটি উট বা গাভী যবেহ করতেন এবং অভ্যাগতরা তাতে অংশগ্রহণ করতেন (বুখারী হা/৩০৮৯; ইবনু কুদামাহ, আল-কাফী ৩/১২০, মুগনী ৭/২৮৬; মির‘আত ৭/৪১৭; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৮/২০৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১/২১৪)। তবে নতুন বাড়ি উদ্বোধনের নামে বিশেষ দো‘আর অনুষ্ঠান, মীলাদ প্রভৃতি আয়োজন করা বিদ‘আত।
নতুন বাড়ী উদ্বোধনকালে বিশেষ কোন দো‘আ আছে কি? এসময় আলেম-ওলামা বা আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দো‘আর অনুষ্ঠান বা ভোজসভা করা যাবে কি?
This entry was posted in নতুন বাড়ী উদ্বোধনকালে আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়ানো যাবে কি? and tagged উদ্বোধন, দাওয়াত. Bookmark the permalink.