পালক পুত্র পরিবারের সদস্য নয় এবং সে মাহরামও নয়। সেজন্য সে সামর্থ্যবান হ’লে আলাদাভাবে কুরবানী করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০/৩৬০)। আর একান্নবর্তী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সদস্যরা যদি আলাদাভাবে আয় করে এবং সামর্থ্যবান হয়, তবে প্রত্যেকে আলাদাভাবে কুরবানী করতে পারে অথবা পরিবার প্রধানের নিকট সকলের অর্থ জমা করেও একসাথে কুরবানী করতে পারে। এটিই তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে জনমন্ডলী! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী রয়েছে’ (আবূদাঊদ হা/২৭৮৮; আহমাদ হা/১৭৯২০; মিশকাত হা/১৪৭৮)।
আমার একটি পালক পুত্র রয়েছে। সে ও তার পরিবার ঈদুল আযহায় একই কুরবানীতে আমাদের সাথে শরীক হ’তে চায়। এটা কি জায়েয হবে? একই পরিবারভুক্ত পরিবারের সদস্যরা কি তাদের কুরবানীর টাকা একত্র করে একসাথে কুরবানী করতে পারে?
This entry was posted in কুরবানীতে পালক পুত্র শরীক হ’তে পারে কি? and tagged কুরবানী. Bookmark the permalink.