‘মাক্বামে মাহমূদ’ বা প্রশংসিত স্থান হ’ল এমন একটি স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে রাসূল (ছাঃ) তাঁর উম্মতের জন্য সুফারিশ করবেন (বুখারী হা/৭৪৪০; মুশকিলুল আছার হা/৮৫০; ছহীহাহ হা/২৩৬৯)। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করবে। এটি তোমার জন্য অতিরিক্ত। নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উঠাবেন’ (ইসরা ১৭/৭৯)। এই স্থানে দাঁড়িয়ে সুফারিশের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) স্বয়ং এই স্থানকেই সুফারিশ বলেছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘মাক্বামে মাহমূদ হচ্ছে সুফারিশ’ (আহমাদ হা/১০২০৩; সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৩৬৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭২১)। তিনি আরো বলেন, ‘ক্বিয়ামতের মাঠে মানুষকে উঠানো হবে। আমি ও আমার উম্মত একটি উপত্যকার উপর থাকব। আমার প্রতিপালক আমাকে সবুজ আলখেল্লা পরাবেন। তারপর আমাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে। তখন আমি আল্লাহর ইচ্ছায় যা বলার বলব। এটাই হচ্ছে মাক্বামে মাহমূদ’ (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৩৭০, ২৪৬০, ছহীহ ইবনু হিববান হা/৬৪৪৫)। উক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে সুফারিশের জন্য আল্লাহ মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে পাঠাবেন। আর সে স্থানটিই মাক্বামে মাহমূদ। উক্ত স্থানটি কেবল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জন্য খাছ, অন্য কারু জন্য নয়। অতএব উক্ত স্থান নিজে লাভ করার জন্য দো‘আ করার সুযোগ নেই। বরং আযানের দো‘আয় ‘ওয়াব‘আছহু মাক্বামাম মাহমূদা নিল্লাযী ওয়াআদতাহ’ বাক্য দ্বারা আমরা আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত এই প্রার্থনা করি যে, আল্লাহ যেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে তাঁর প্রতিশ্রুত এই স্থানটি প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আযানের এই দো‘আটি পাঠ করবে তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হবে’ (বুখারী হা/৬১৪)।
মাক্বামে মাহমূদ কি? এটা কি রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ? কোন ব্যক্তি এই অবস্থান লাভের জন্য দো‘আ করতে পারবে কি?
This entry was posted in মাক্বামে মাহমূদ কি? and tagged পরিচয়, মাক্বামে মাহমূদ. Bookmark the permalink.