সরকারী নিয়ম-কানূনের কারণে কিংবা ব্যক্তির মূল বয়স সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ইতিপূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হ’ত। অতএব সরকার নির্ধারিত নিয়মেই উক্ত অতিরিক্ত পাঁচ বছর চাকুরী করা বৈধ হবে এবং এর বেতন নেওয়াও বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া উক্ত বেতন ব্যক্তির পরিশ্রমলব্ধ আয়ও বটে। তবে বর্তমানে জন্মনিবন্ধন সনদের নীতিমালা তৈরী হওয়ার পর জেনে-শুনে কেউ যদি চাকুরীর বয়স বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সার্টিফিকেটে বয়স কম-বেশী করে, তবে সেটা মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার শামিল হবে, যা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)।
সরকারী বিধি অনুযায়ী চাকুরীর বয়সসীমা ৫৯ বছর। কিন্তু সার্টিফিকেটে মূল বয়সের চেয়ে আমার বয়স ৫ বছর কম লিখিত রয়েছে, যা আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি। এক্ষণে অতিরিক্ত পাঁচ বছর চাকুরী করা কি আমার জন্য বৈধ হবে এবং এ সময়ে প্রাপ্ত বেতন কি আমার জন্য হালাল হবে?
This entry was posted in সার্টিফিকেটে বয়স কমিয়ে চাকুরী করা বৈধ হবে কি? and tagged চাকুরি, প্রতারণা, বয়স. Bookmark the permalink.