সন্তানের নিকট পিতা-মাতা উভয়ের মর্যাদা সমান। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। আর পিতা-মাতার মধ্যে মনোমালিন্য হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ শয়তান স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারলে খুশী হয় (মুসলিম হা/২৮১৩; মিশকাত হা/৭১)। অতএব এক্ষেত্রে সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিষয়গুলি বিবেচনা করে উভয়কে সচেতন করা এবং বুঝিয়ে তাদের মাঝে মীমাংসা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসাবে, যদিও সেটি তোমাদের নিজেদের কিংবা তোমাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়’ (নিসা ৪/১৩৫)। পরস্পরে মীমাংসা করে দেওয়ার কাজটি অত্যন্ত নেকীর কাজ। এটি না করলে পিতা-মাতার মাঝে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে যা সন্তানের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক হবে। পরস্পরে মীমাংসা করার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে (নফল) ছিয়াম, ছালাত ও ছাদাক্বা অপেক্ষা উত্তম আমলের কথা বলব না? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই। তিনি বললেন, বিবদমান দু’ব্যক্তির মাঝে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। কেননা পরস্পরে সম্পর্ক বিনষ্ট করা হ’ল দ্বীন ধ্বংসকারী বিষয়’ (তিরমিযী হা/২৫০৯; মিশকাত হা/৫০৩৮)। সর্বোপরি তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতির জন্য দো‘আ করবে।
পিতা-মাতার মাঝে গন্ডগোল লাগলে সন্তানের করণীয় কি?
This entry was posted in পিতা-মাতার মাঝে গন্ডগোল লাগলে সন্তানের করণীয় কি? and tagged ঝগড়া / গন্ডগোল, পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী. Bookmark the permalink.