ইমোজি শব্দটির উৎপত্তি জাপানী শব্দ ইমোডজি থেকে, যার অর্থ স্মাইলি অর্থাৎ হাসিমুখ। এটি এক ধরনের আইকন, যা মানুষের বিভিন্ন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশার্থে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহে ব্যবহৃত হয়। ইমোজি বা ইমোকটিন প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০১২ সালে। যদিও ১৯৯৯ সাল থেকে ইমোজির অস্তিত্ব ছিল। এই ইমোজি যদি পূর্ণ অবয়ব বিশিষ্ট প্রাণীর অনুরূপ হয়, তবে তা ব্যবহার জায়েয নয়। কেননা তা হাদীছে নিষিদ্ধ ছবি অংকনের পর্যায়ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে (বুখারী হা/২২২৫, ৫৯৬৩; মুসলিম হা/২১১০)। আর যদি চোখ-মুখ বা শারীরিক অবয়ব স্পষ্ট বুঝা না যায়, তবে তা ব্যবহারে দোষ নেই। কেননা তা প্রাণীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয় (আল-মুগনী ৭/২৮২; উছায়মীন, মাজমূ ফাতাওয়া ২/২৭৯)। তবে অকারণ এগুলোর ব্যবহার পরিত্যাগ করাই তাক্বওয়ার পরিচয়। আর নিঃসন্দেহে তাক্বওয়াই হ’ল মানুষের সর্বোত্তম সম্বল (বাক্বারাহ ২/১৯৭)।
ফেসবুকে বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইমোজি ব্যবহার করা শরী‘আত সম্মত কি?
This entry was posted in ফেসবুকে ইমোজি ব্যবহার করা শরী‘আত সম্মত কি? and tagged ছবি. Bookmark the permalink.