ইবনুল জাওযী সূরা রহমানের ৫৬ আয়াত ‘সেখানে রয়েছে আনতনয়না রমণীগণ, যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি’-এর ব্যাখ্যায় বলেন, এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের শারীরিক মিলন সম্ভব (যাদুল মাসীর ৪/২১৪)। আর মানুষের সাথে জিনের মিলন সম্ভব বলেই রাসূল (ছাঃ) মিলনের পূর্বে পঠিতব্য দো‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন, আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা (বুখারী হা/৫১৬৫; ফাৎহুল বারী, উক্ত হাদীছের আলোচনা ৯/২২৯ পৃ.)। আর এটি দু’ভাবে হ’তে পারে। (১) ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে (২) জাগ্রত অবস্থায় অনুভবের মাধ্যমে। এতে বীর্যস্খলন হ’লে ফরয গোসল করতে হবে। এক্ষণে জিনের আছর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যার আমল সমূহ ও ছালাতের পরে সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ নিয়মিত পাঠ করতে হবে। তাছাড়া ঘুমানোর পূর্বে সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করে গোটা শরীরে হাত বুলাবে এবং আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে।
জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি? এথেকে নিস্কৃতি পাওয়ার উপায় কি?
This entry was posted in জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি? and tagged জিন/শয়তান. Bookmark the permalink.