ইমাম যাহাবী (রহঃ) উক্ত ঘটনা তাঁর ‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন (সিয়ার ১২/৪৭৯)। তবে বিষয়টি ইসলামী শরী‘আতের সাথে সাংঘর্ষিক ও শিরকের শামিল। কারণ প্রথমতঃ কোন মৃত ব্যক্তির অসীলায় কিছু প্রার্থনা করা শিরক (ইউনুস ১০/১৮; যুমার ৩৯/৪৩-৪৪)। দ্বিতীয়তঃ মৃত ব্যক্তিকে কিছু শোনানো সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘কবরস্থ কোন ব্যক্তিকে আপনি কিছুই শুনাতে পারেন না’ (ফাত্বির ২২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে তাঁর চাচা আববাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে ওমর (রাঃ) বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকটে তোমার নবীর অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতাম। এখন আমরা আমাদের নবীর চাচার অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। অতএব তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি বর্ষণ কর’ (বুখারী হা/১০১০, মিশকাত হা/১৫০৯)। অতএব ঘটনাটি কাকতালীয় হ’তে পারে। নইলে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ এটা করে থাকলে সেটি বড় শিরক হয়েছে। যা ক্ষমার অযোগ্য।
মিরক্বাতে বর্ণিত হয়েছে যে, সমরকন্দে এক বছর ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল না। পরে ইমাম বুখারীর কবরে গিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি হয়। ঘটনাটির সত্যতা জানতে চাই।
This entry was posted in ইমাম বুখারীর কবরে গিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি হয় কি? and tagged অসীলা, প্রার্থনা. Bookmark the permalink.