সাধারণভাবে জীবিকার জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া উচিৎ নয়। কেননা এতে তাদের দ্বারা দ্বীন প্রভাবিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত…’ (আবুদাঊদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৬৩৬)। তিনি বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেয়ো না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে’ (তিরমিযী হা/১৬০৫; ছহীহাহ হা/২৩৩০, সনদ হাসান)। তবে বাধ্যগত কারণে তাদের মাঝে বসবাস করতে হ’লে নিজ ধর্মের বিধি-বিধান মেনে চলবে এবং সুযোগমত তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিবে’ (নাহল ১৬/১২৫, মুমতাহিনাহ ৬০/৮; ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী ৬/৪০৩; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৪৩)। এছাড়া মূলতঃ তিনটি শর্ত সাপেক্ষে কোন মুসলিম অমুসলিম রাষ্ট্রে যেতে পারে। (১) হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী জ্ঞান থাকা (২) প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার মত ঈমানী মযবুতী থাকা (৩) এমন অভাবী হওয়া যে, জীবিকার বিকল্প পথ না থাকা (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৪)।
জীবিকার তাগিদে অমুসলিম রাষ্ট্রে গমন করা যাবে কী?
This entry was posted in অমুসলিম রাষ্ট্রে জীবিকার তাগিদে গমন করা যাবে কী? and tagged অমুসলিম, জীবিকা. Bookmark the permalink.