অন্যের খরচে হজ্জ পালনে বাধা নেই। এতে হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ৬৫৯৩)। কেননা হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ কেবল উপার্জনকারীর জন্য হারাম। উপার্জনকারীর নিকট থেকে বৈধ পন্থায় গ্রহণকারী এর জন্য দায়ী হবে না। যেমন রাসূল (ছাঃ) ইহূদীদের সাথে লেনদেন করতেন, যদিও তারা সূদ-ঘুষে অভ্যস্ত ছিল (উছায়মীন, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ৫৭ আয়াত ১/১৯৮)। উল্লেখ্য যে, হারাম উপার্জনের জন্য সূদী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারী সকলেই গোনাহগার হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয় তাদের সকলের উপর লা‘নত করেছেন। তিনি বলেন, পাপের ক্ষেত্রে তারা সবাই সমান’ (মুসলিম হা/১৫৯৮; মিশকাত হা/২৮০৭)।
একটি সূদী আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের খরচে প্রতিবছর হজ্জে পাঠানো হয়। উক্ত অর্থ দিয়ে হজ্জ করলে তা কবুলযোগ্য হবে কি?
This entry was posted in হজ্জ্ব সূদী প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে করলে কবুল হবে কি? and tagged হজ্জ / হাজী. Bookmark the permalink.