ইমাম ইবনুল জাওযী ও তাঁর কিতাব ‘তালবীসু ইবলীস’ সম্পর্কে জানতে চাই।


তাঁর পুরো নাম জামালুদ্দীন আবুল ফারাজ আব্দুর রহমান বিন আলী ইবনুল জাওযী। তিনি ৫১০ হিজরীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫৯৭ হিজরীতে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিন বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন এবং ইয়াতীম অবস্থায় চাচার নিকট লালিতপালিত হন। তিনি তাফসীর, হাদীছ ফিক্বহসহ বিভিন্ন বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক (যিরিকলী, আললাম /৩১৬)

তাঁর রচিত অন্যতম প্রসিদ্ধ গ্রন্থতালবীসু ইবলীসযার অর্থ শয়তানের প্রতারণা। গ্রন্থটিকে তিনি তেরটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। যেখানে শয়তানী প্রতারণার বিভিন্ন ধরন, প্রকারভেদ তা থেকে আত্মরক্ষার উপায়সমূহ বর্ণনা করেছেন। প্রথমতঃ তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মানহাজকে আঁকড়ে ধরার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন এবং বিদআতীদের নানা ভ্রান্ত বিশ্বাসের অপনোদন করেছেন। অতঃপর তিনি ইহূদী, খৃষ্টান, অগ্নিউপাসক প্রভৃতি অমুসলিম দলউপদল এবং বিভিন্ন বাতিল ফের্কা তথা খারেজী, ছূফী রাফেযী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের উপর শয়তানী প্রতারণা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

সবশেষে তিনি হকপন্থীগণ দ্বীনের বিধিবিধান পালনের ক্ষেত্রে কিভাবে শয়তানের ফাঁদে পড়ে এবং নেকী থেকে মাহরূম হয়, সে ব্যাপারে হৃদয়গ্রাহী সূক্ষ্ম আলোচনা পেশ করেছেন। সার্বিকভাবে গ্রন্থটি দ্বীন গ্রহণের পর দ্বীনের উপর ইস্তিক্বামাত বা দৃঢ় থাকার ক্ষেত্রে অনন্য একটি গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত।

This entry was posted in ইমাম ইবনুল জাওযী ও তাঁর কিতাব ‘তালবীসু ইবলীস’ সম্পর্কে জানতে চাই। and tagged . Bookmark the permalink.