ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়নি। আর এসময় রিযিক বণ্টনের বিষয়ে যে ক’টি হাদীছ ও আছার বর্ণিত হয়েছে, তার সবগুলো যঈফ (যঈফাহ হা/৫১৭০, ৬৯৯১; যঈফুত তারগীব হা/১০৪৫–১০৪৮; যঈফুল জামে‘ হা/৮১৮)। তবে বিভিন্ন দলীলের মাধ্যমে বুঝা যায় যে, শরী‘আতে ফজরের পর ঘুমানোর বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন রাতকে বিশ্রাম এবং দিনকে জীবিকার্জনের জন্য সৃষ্টি করেছেন (নাবা ৭৮/১০–১১)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহ তুমি আমার উম্মতের জন্য ভোরের কর্মের মধ্যে বরকত দান করো। বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন কোথাও ক্ষুদ্র সেনাদল বা বৃহৎ সৈন্যবাহিনী পাঠাতেন তখন তাদেরকে দিনের প্রথমাংশে পাঠাতেন। রাবী ছাখার আল-গামেদী ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসাদলকে দিনের শুরুতেই পাঠিয়ে দিতেন। ফলে তিনি ধনী হন এবং তার সম্পদ বৃদ্ধি পায় (আবুদাঊদ হা/২৬০৬; মিশকাত হা/৩৯০৮; ছহীহুল জামে‘ হা/১৩০০)।
ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি? এসময় মানুষের রিযিক বণ্টন করা হয় মর্মে কোন দলীল আছে কি?
This entry was posted in ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি? and tagged ঘুম / ঘুমানো. Bookmark the permalink.