উপরে বর্ণিত অধিকাংশ কার্যক্রমই শরী‘আত বিরোধী। এসব কাজে সহায়তার অর্থ শরী‘আত বিরোধী কাজে সহায়তা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর। গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। এর চেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হ’ল, এর মাধ্যমে একদিকে যেমন চলমান গুনাহে জড়িত হ’তে হয়, অন্যদিকে এসব শুনে যারা গুনাহের শিকার হচ্ছে তাদের পাপের বোঝাও বহন করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করে, তার জন্যও ঠিক সেই পরিমাণ গোনাহ রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে’ (মুসলিম হা/২৬৭৪; মিশকাত হা/১৫৮)। অতএব সম্ভব হ’লে কেবল নির্দোষ অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে, নতুবা চাকুরী ছেড়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে বৈধ রূযীর পথ অনুসন্ধান করতে হবে।
আমি বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগে ৭ বছর যাবৎ কর্মরত আছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ও আমার সহকর্মীরা গান-বাজনা, নাটক, ধর্মীয়, সামাজিক সবধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করি। কালীপূজা সহ হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠান প্রযোজনা করতে হয়। এক্ষণে আমার এ চাকুরী করা জায়েয হবে কি?
This entry was posted in রেডিওতে কাজ করা যাবে কি? and tagged চাকুরি, জায়েয/না জায়েয, টেলিভিশন / রেডিও. Bookmark the permalink.