Tag Archives: কিয়ামত

হিসাবের দিন এক দিনই হবে। তবে সেই দিনটি পৃথিবীর হিসাবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান হবে (মা‘আরেজ ৭০/৩-৪; মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩)। উল্লেখ্য যে, আরবীতে ৭০, ৭০০, ১০০০, ৫০০০০ সংখ্যাগুলি সাধারণতঃ আধিক্য বুঝানোর অর্থে বলা হয়। সুতরাং উক্ত আয়াত ও হাদীছসমূহের বর্ণিত … Continue reading →

মানুষের কর্ম অনুযায়ী শাস্তি হবে। আল্লাহ কারো প্রতি যুলুম করবেন না। যার যা প্রাপ্য তাকে তা-ই দেবেন। সময়ের বিষয়টি আপেক্ষিক। আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন তারা (ক্বিয়ামত দিবস) প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা পৃথিবীতে মাত্র একটি সন্ধ্যা বা একটি … Continue reading →

এ মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ ব্যতীত সকল সৃষ্টজীব ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সবই ধ্বংসশীল। কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা (রহমান ৫৫/২৬-২৭)। এছাড়া ক্বিয়ামতের পূর্বে কা‘বা ধ্বংস হয়ে যাবে … Continue reading →

হুবহু উক্ত শব্দে হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে এর কাছাকাছি অর্থে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের বাছাই করা হবে, যেভাবে ভালো খেজুর মন্দ খেজুর থেকে বাছাই করা হয়। তোমাদের মধ্যকার নেককার লোকগুলো বিদায় নিবে এবং মন্দ লোকগুলো অবশিষ্ট … Continue reading →

কিয়ামতের এমন কিছু আলামত আছে যেগুলো ঘটে গেছে। আবার কিছু আলামত আছে যা বর্তমানে ঘটছে। আর কিছু আলামত আছে যা ভবিষ্যতে ঘটবে। আর কিয়ামতের বড় আলামতগুলোর ধারাবাহিকতা নিয়ে হাদীছে বিভিন্নরূপ বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়। এ সকল হাদীছের আলোকে বলা যায় যে, … Continue reading →

উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৫৮৯; যঈফুল জামে‘ হা/৫৫৬৮)। ইবনু মুলাক্কিন বলেন, হাদীছটি বিশটি তুরুকে বর্ণিত হয়েছে, সবগুলো যঈফ। ইমাম দারাকুৎনী বলেন, এর সকল তুরুক দুর্বল, কোনটিই গ্রহণযোগ্য নয়। বায়হাক্বী বলেন, সকল সনদ যঈফ (আল-বাদরুল মুনীর ৭/২৭৮)। তবে হাদীছ … Continue reading →

উক্ত মর্মে বর্ণনা রয়েছে যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইসলাম পুরাতন হয়ে যাবে, যেমন কাপড়ের কারুকার্য পুরাতন হয়ে যায়। এমনকি অবস্থা এমন হবে যে, জানবে না, ছিয়াম কি? ছালাত কি? কুরবানী কি, যাকাত কি?। এক রাতে পৃথিবী … Continue reading →

এ ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কোন বর্ণনা নেই। তবে একদল বিদ্বান মনে করেন, যেমনভাবে শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না’ (নাসাঈ হা/২০৫৩), তেমনি নবীগণও কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (ইবনুল ক্বাইয়িম, কিতাবুর রূহ ১/৮১-৮২)।

ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে আগমন করে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার ও তাঁর অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর মাঝে কোন নবী নেই। …তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। অতঃপর মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমরা তাঁর জানাযায় … Continue reading →

ফেরেশতাগণও মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করো না। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। প্রত্যেক বস্ত্তই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত। বিধান কেবল তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে’ (ক্বাছাছ ২৮/৮৮)। তিনি আরো বলেন, … Continue reading →

ইমাম মাহদীর আগমন ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম। কিন্তু তিনি ক্বিয়ামতের কতদিন পূর্বে এবং কোন দিক থেকে আগমন করবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছুই বর্ণিত হয়নি। তবে ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর আগমনের পূর্বে তিনি আসবেন। কারণ ইমাম মাহদীর ইমামতিতেই তিনি ছালাত আদায় করবেন’ (মুসলিম … Continue reading →

মৃত্যুর পরে রূহ কিছুক্ষণের জন্য দেহ হ’তে বিচ্ছিন্ন হলেও পুনরায় আপন দেহে তা স্থাপন করা হবে এবং বান্দাকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৪২৬২; মিশকাত হা/১৬৩০)। ক্বিয়ামতের দিনও মানুষের আত্মার সাথে তার দেহ জুড়ে দেওয়া হবে (ফজর ৮৯/২৭-৩০; ইবনু … Continue reading →

মৃত্যুর পরে রূহ কিছুক্ষণের জন্য দেহ হ’তে বিচ্ছিন্ন হ’লেও পুনরায় আপন দেহে তা স্থাপন করা হয় এবং বান্দাকে প্রশ্ন করা হয় (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৪২৬২; মিশকাত হা/১৬৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৭৬)। অতএব কিয়ামতের দিনও মানুষের আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দেওয়া হবে। … Continue reading →

কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্লেখ্য যে, মাথা ঢাকা বা টুপী পরা শিষ্টাচারমূলক পোষাকের অন্তর্ভুক্ত। এটাকে তাক্বওয়ার পোশাক হিসাবে গণ্য করা হয় (দ্রঃ বিস্তারিত))।

কেবল সিরিয়ায় নয় বরং শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তীন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া)। আবু যর গেফারী (রাঃ) হ’তে … Continue reading →

ইয়াজূজ-মাজূজ পৃথক কোন সম্প্রদায় নয়, বরং তারা আদম (আঃ)-এর বংশধর (বুখারী হা/৪৭৪১ মুসলিম হা/২২২)। মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা পৃথিবীতে কখন ও কিভাবে আগমন করেছে, এ বিষয়ে বিদ্বানদের মাঝে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে তারা অবশ্যই আদম সন্তান … Continue reading →

কোন ব্যক্তি কিছু ওয়াকফ করে তা পুনরায় দাবী করতে পারে না। কেননা ওয়াকফকৃত বস্ত্ত তার থাকে না। সুতরাং এরূপ দাবী করা সম্পদ ফিরিয়ে নেওয়ার শামিল। যাকে বমি করে পুনরায় খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে (বুখারী হা/১৪৯০, মুসলিম হা/১৬২২, মিশকাত হা/১৯৫৪)। … Continue reading →

দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথীর সাথে অজ্ঞাত এক দ্বীপে বন্দী অবস্থায় তার সাক্ষাৎ ঘটেছিল। সেখানে দাজ্জাল তাদের নিকট থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর আগমন সম্পর্কে জেনে অচিরেই বন্দীদশা থেকে সে মুক্তি পাবে … Continue reading →

বান্দাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রমাণ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে এটা করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি ভেবেছ জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখনো জেনে নেননি কারা তোমাদের মধ্যে জিহাদ করেছে এবং কারা তোমাদের মধ্যে ধৈর্যশীল’? (আলে ইমরান ৩/১৪২)। যাতে বান্দা … Continue reading →

হাদীছটি ছহীহ (মুসলিম হা/২৮৬৪; মিশকাত হা/৫৫৪০ ‘কিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায় ‘হাশর’ অনুচ্ছেদ)।

ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী আমীর বা ইমাম যতদিন স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবেন, ততদিন পালন করে যাবেন। তবে রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মজলিসে শূরা যখন তাকে এ দায়িত্বের জন্য অক্ষম মনে করবে, তখন তাকে অব্যাহতি দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, … Continue reading →

হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল। এটি বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান, মুসনাদে হারেছ ও ইবনু ‘আদী সহ কয়েকটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। হাদীছটি হযরত জাবের ও আয়েশা (রাঃ) হ’তে মরফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম সূত্রে ইসহাক বিন বিশ্র আল-কাহেলী নামে একজন রাবী আছেন, যিনি … Continue reading →

ভূপৃষ্ঠে এমন কোন স্থান থাকবে না যেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছবে না (আহমাদ হা/২৩৮৬৫, মিশকাত হা/৪২)। এরপরও কারু নিকটে যদি ইসলামের দাওয়াত না পৌঁছে, তবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নিবেন। এতেই তারা জান্নাতী বা জাহান্নামী হবে। রাসূল (ছাঃ) … Continue reading →

ক্বিয়ামতের দিন যারা শাফা‘আত করার সুযোগ লাভ করবেন, তারা হলেন (১) নবী-রাসূলগণ (২) ফেরেশতাগণ (৩) মুমিনগণ (মুসলিম হা/১৮৩; মিশকাত হা/৫৫৭৯)। (৪) ছিয়াম (৫) কুরআন (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৬৩, সনদ ছহীহ)। এছাড়া(৬)শহীদগণ নিজ পরিবারের ৭০ জনের জন্য শাফা‘আত করতে পারবেন (আবুদাঊদ হা/২৫২২)। … Continue reading →

উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। তবে জুম‘আর দিনে ক্বিয়ামত হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে (আবুদাঊদ হা/১০৪৬, নাসাঈ হা/১৪৩০)।