Tag Archives: ক্বাযা ছালাত / ক্বাযা ছিয়াম
অসুস্থতার কারণে আমি টানা ৩/৪ মাস ছালাত আদায় করতে পারিনি। এক্ষণে সুস্থতা লাভের পর আমাকে উক্ত ছালাত সমূহের ক্বাযা আদায় করতে হবে কি?
ক্বাযা আদায় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছালাতের কথা ভুলে যায় অথবা ছালাত না পড়ে ঘুমিয়ে যায়, তার কাফফারা হ’ল স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে সে যেন সেটি আদায় করে নেয়’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, এটি ব্যতীত তার কোন কাফফারা … Continue reading
আমার আশুরার ছিয়াম পালনের খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু হায়েযের কারণে তা পালন করতে পারিনি। এক্ষণে এর কাযা আদায় করতে পারব কী?
আশূরার ছিয়াম নফল। আর সাধারণভাবে কোন নফল ইবাদতের কাযা আদায় করার বিধান নেই। অতএব হায়েযা মহিলা যদি পূর্ব থেকে অভ্যস্ত থাকে এবং নেক নিয়ত রাখে, তবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে নেক নিয়তের কারণে পূর্ণ ছওয়াব প্রদান করবেন (নিসা ৪/১০০; হাফেয ইবনু হাজার, … Continue reading
সূর্য ওঠার সামান্য পূর্বে ঘুম ভেঙ্গেছে। এমতাবস্থায় ফরয ছালাত আদায় করে তারপর কি সুন্নাত পড়তে হবে? আর সেটি হ’লে সেটা কি সূর্যোদয়ের পর পড়তে হবে?
এমতাবস্থায় সুন্নাত সহই ফজরের দু’রাক‘আত ফরয ছালাত আদায় করবে। সূর্যোদয় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। কেননা ঘুম ভাঙ্গার উপর বান্দার কোন এখতিয়ার নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ ছালাত ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে তার কাফফারা হ’ল, ঘুম ভাঙ্গলে অথবা স্মরণে … Continue reading
জনৈক ব্যক্তি সারা জীবন ছালাত, ছিয়াম এবং অন্যান্য ইবাদত পালন করেননি। মৃত্যুর কিছু দিন পূর্বে ছালাত ধরলেও ছিয়াম পালন করার সুযোগ পাননি। এক্ষণে তার পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করার সুযোগ রয়েছে কি?
উক্ত ব্যক্তি যেহেতু তওবা করে ছালাত আদায় করা শুরু করেছিল, কিন্তু ছিয়াম পালন করার সুযোগ পায়নি। সেহেতু তার উত্তরাধিকারীরা তার ছুটে যাওয়া ছিয়ামের সংখ্যা অনুমান করে ভাগাভাগি করে ক্বাযা আদায় করে দিতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে … Continue reading
সুন্নাত ছালাতের ক্বাযা যেকোন সময় পড়া যাবে কি?
যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে অথবা ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে অথবা যখন ঘুম থেকে জাগবে, তখন সে যেন বিতর পড়ে নেয়’ (তিরমিযী হা/৪৬৫; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৮; মিশকাত হা/১২৭৯)। রাসূল (ছাঃ) কারণবশতঃ সুন্নাত পড়তে না পারলে পরে … Continue reading
সফর অবস্থায় কোন ছালাত ক্বাযা হ’লে বাড়িতে এসে তা আদায় করার সময় পুরো আদায় করতে হবে, না ক্বছর করলেই যথেষ্ট হবে? এমনিভাবে এর উল্টো অবস্থায় করণীয় কি?
শরী‘আতে প্রত্যেক ছালাতের যে রাক‘আত সংখ্যা বর্ণিত হয়েছে, সেটা আদায় করাই প্রকৃত বিধান। আর সফর অবস্থায় ছালাতে ‘ক্বছর’ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাদের প্রতি একটি উপহার স্বরূপ। এটা বাধ্যগত বিষয় নয়। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা সফর কর, তখন ছালাতে ক্বছর … Continue reading
জনৈক আলেম বলেন, রামাযানের শেষ জুম‘আয় পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করলে তা সারাজীবনের তরককৃত ফরয ছালাতের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
একথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমর্মে একটি জাল বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু সেটি কোন জাল হাদীছের কিতাবে নেই। ইমাম শাওকানী বলেন, প্রশ্নাতীতভাবে এটি জাল। জাল বর্ণনার কিতাবগুলোতেও আমি এটি পাইনি। কিন্তু বর্তমান যুগে এটি ছান‘আ শহরের ফক্বীহদের নিকট প্রসিদ্ধ (আল-ফাওয়ায়েদুল মাজমূ‘আহ হা/১১৪, ১/৫৪)। … Continue reading
মাগরিবের ছালাত ক্বাযা অবস্থায় মসজিদে গিয়ে এশার ছালাত চলতে দেখলে মুছল্লীর জন্য করণীয় কি? সে কি জামা‘আতের সাথে আগে এশা আদায় করবে? না কি এশার জামা‘আতের সাথে মাগরিবের নিয়ত করবে? যদি মাগরিব আদায় করে সেক্ষেত্রে রাক‘আতের সমন্বয় কিভাবে করবে? কেননা মাগরিব হচ্ছে তিন রাক‘আত আর এশা হচ্ছে চার রাক‘আত। জানিয়ে বাধিত করবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে জামা‘আতের সাথে এশা পড়বে। অতঃপর পৃথকভাবে মাগরিবের ছালাত আদায় করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১০৬)।