Tag Archives: গোশত

কুরবানীর গোশত ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশত, চামড়া, ভূঁড়ি ইত্যাদি ছাদাক্বা করে দিতে আদেশ করলেন। তিনি গোশত দ্বারা কসাইয়ের মজুরী দিতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, আমাদের নিজেদের পক্ষ … Continue reading →

টার্কী বা যে কোন জাতের মুরগীর গোশত হালাল। কেননা এটি দন্ত ও নখর বিশিষ্ট কোন হিংস্র প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর সামনে মুরগীর গোশত পেশ করা হ’লে তিনি তা ভক্ষণ করেছেন (বুখারী হা/৫৫১৮; মুসলিম হা/১৬৪৯)।

হিন্দুরা বিসমিল্লাহ বলে পশু যবেহ করলেও উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। কারণ হিন্দুরা মুশরিকদের মতই অপবিত্র (তওবাহ ৯/২৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪৩৯; মাজাল্লাতু মাজমাঈল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/২৪৩)। উল্লেখ্য যে, কোন আহলে কিতাব তথা ইহুদী-খৃষ্টানের যবেহকৃত পশু ভক্ষণ করা জায়েয, যদি … Continue reading →

গরুর গোশত খাওয়াতে যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এ্যালার্জি, এ্যাজমা, হাই-প্রেসার ইত্যাদি দুরারোগ্য ব্যাধিতে ডাক্তাররা বিশেষত গরুর গোশত খেতে নিষেধ করেন।  রাসূল (ছাঃ) থেকে গরুর গোশতের ক্ষতি সম্পর্কে বেশ কিছু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন তিনি … Continue reading →

কোন মুসলিম কর্তৃক বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া জায়েয। কারণ সে ছালাতকে অস্বীকার করে না। বরং অলসতাবশত মাঝে-মধ্যে ছেড়ে দেয় (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২৭৫)। তবে তাকে ছালাত আদায়ের উপদেশ দিতে হবে। কারণ ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত পরিত্যাগ করা কুফরীর … Continue reading →

ময়ূর, তোতা, টিয়া ইত্যাদি পাখির গোশত খাওয়া জায়েয। কারণ এগুলি ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি নয়, যা খেতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১০৫; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১৫/৩৩; আল-ইনছাফ ১০/৩৬৪)।

কোন প্রাণীকে যদি কারেন্টে শক করে আর জীবিত অবস্থায় তাকে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে তার গোশত খাওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের গোশত, যেসব বস্ত্ত আল্লাহ ছাড়া অন্যের … Continue reading →

শূকরের গোশত নিজেও খাওয়া যাবে না, অপরকেও খাওয়ানো যাবে না। কারণ এটিকে আল্লাহ হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২/১৭৩) এবং  রাসূল (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন এর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (বুখারী হা/২২৩৬; মুসলিম হা/১৫৮১; মিশকাত হা/২৭৬৬)।

আহলে কিতাব তথা ইহূদী এবং খৃষ্টানদের যবেহ করা হালাল পশু খাওয়া জায়েয, যদি তারা যবহের সময় আল্লাহর নাম নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর আহলে কিতাবদের যবেহকৃত পশু তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের যবেহকৃত পশু তাদের জন্য হালাল’ (মায়েদাহ ৫/৫)। যবেহের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ … Continue reading →

প্রশ্নের সাথে কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। কারণ এখানে প্রশ্ন হ’ল গোশত বেশী পাওয়ার জন্য। পক্ষান্তরে কুরবানী হ’ল আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের মাধ্যম। অতএব সামর্থ্য থাকলে বড় পরিবারের জন্য বড় পশু বা একাধিক পশু কুরবানী দিবে। আল্লাহ বলেন, ‘কুরবানীর পশুর গোশত বা … Continue reading →

শিয়ালের গোশত খাওয়া হারাম। কেননা তা তীক্ষ্ণ দন্তধারী ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দন্তধারী হিংস্র জন্তু এবং নখ ও থাবা দ্বারা শিকারী পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৯৩৪; মিশকাত হা/৪১০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২২/৩১০)।

শারঈ পন্থায় পশু যবহ করার পর যেকোন উপায়ে খাদ্যোপযোগী করে তা খাওয়া যাবে। পুড়িয়ে খাওয়ার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং এটাই প্রমাণিত যে, রাসূল (ছাঃ) দুম্বার পোড়ানো পাঁজরের হাড্ডি খেয়েছেন (আহমাদ হা/২৬৬৬৪; তিরমিযী হা/১৮২৯; মিশকাত হা/৩২৫)।