Tag Archives: জান্নাত/জাহান্নাম
হাশরের মাঠে রাসূল (ছাঃ)-এর সুফারিশ ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে কি?
রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত ছাড়া বিচার কার্যই শুরু হবে না (বুখারী হা/১৯৪; মুসলিম হা/১৯৩)। তাই তাঁর শাফা‘আত ব্যতীত জান্নাতেও যাওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি প্রথম ব্যক্তি যে লোকদের জান্নাতে প্রবেশ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট শাফা‘আত করব (মুসলিম হা/১৯৬; মিশকাত হা/৫৭৪৪)। … Continue reading
কবরে যারা মুক্তি পেয়ে সুখে-শান্তিতে অবস্থান করবে, বিচারের পর তাদের জাহান্নামে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?
যারা কবরে শান্তিতে থাকবেন, তারা ক্বিয়ামতের দিন হিসাবের পরেও জান্নাতে প্রবেশ করবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আখেরাতের মনযিলসমূহের মধ্যে প্রথম মনযিল হ’ল কবর। যদি কেউ এখানে মুক্তি পায়, তবে তার জন্য পরবর্তী মনযিল সমূহে মুক্তি পাওয়া সহজতর হবে। আর … Continue reading
কোন ব্যক্তির আমলনামা সমান সমান হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না জাহান্নামে প্রবেশ করবে?
যাদের আমলনামা সমান হবে তাদেরকে কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে ‘আরাফ বাসী’। ‘আরাফ’ জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী একটি উঁচু স্থানের নাম। যা প্রাচীর স্বরূপ। যাদের নেকী সেই পরিমাণ হবে না যার ফলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং গোনাহও সেই পরিমাণ হবে … Continue reading
সমাজে একটি গল্প প্রচলিত আছে যে, মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে একজন কাঠুরিয়ার স্ত্রী। এর কোন সত্যতা আছে কি? যদি সত্য হয়, তবে কোন কারণে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে?
এই কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই। কুরআন, হাদীছ এমনকি কোন ইতিহাস গ্রন্থেও এমন ঘটনা পাওয়া যায় না। হাদীছে এসেছে যে, পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) (মুসলিম হা/১৯৭; আহমাদ হা/১২৪৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/১৪৫০, ১৪৫৯, ৭১১৮)। আর চারজন … Continue reading
সূদখোর কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী?
কুরআনে সূদখোরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কারণ শিরককারী ব্যতীত অন্য কোন কবীরা গুনাহগার ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না, যা কুরআন ও হাদীছের অসংখ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। সেকারণ বিদ্বানগণ ‘চিরস্থায়ী’ পরিভাষাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। (১) কুরআন … Continue reading
একজন নারীকে আমি মনে মনে পসন্দ করতাম এবং বিবাহের ইচ্ছা পোষণ করতাম। কিন্তু তার অন্যত্র বিবাহ হয়ে যায়। এক্ষণে আমি কি জান্নাতে আমার সাথে তাকে একত্রিত করার ব্যাপারে দো‘আ করতে পারি?
এরূপ দো‘আ করার কোন সুযোগ নেই। কারণ এর মাধ্যমে জান্নাতে পরপুরুষের স্ত্রীর সঙ্গ কামনা করা হবে, যা গুনাহের শামিল। বরং নেককার স্বামী তার নিজ স্ত্রীর সঙ্গ লাভের জন্য দো‘আ করতে পারে। কারণ সতী-সাধ্বী নারী তার নেককার স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। … Continue reading
দুনিয়াতে কতজন ছাহাবী জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন?
দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীদের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে ১- ১০ জন ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ নামে খ্যাত। তাঁরা হ’লেন, (১) আবুবকর ছিদ্দীক (২) ওমর (৩) ওছমান (৪) আলী (৫) ত্বালহা (৬) যুবায়ের (৭) আব্দুর রহমান বিন ‘আওফ (৮) সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ … Continue reading
শুনেছি ঈমানদার গরীবেরা ধনীদের ৫০০ বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে। আবার রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অন্তরের ধনী প্রকৃত ধনী। এক্ষণে কারা গরীব বলে গণ্য হবে।
হাদীছ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দরিদ্র মুসলমানগণ জান্নাতে যাবে সম্পদশালীদের চেয়ে অর্ধদিন পূর্বে। এই অর্ধদিন হ’ল পাঁচ শত বছরের সমান’ (তিরমিযী হা/২৩৫৪; মুসলিম হা/২৭৩৬)। ঈমানদারীর দিক থেকে সমান হ’লে দরিদ্রদের জন্য জান্নাতে যাওয়া সহজ … Continue reading
জাহান্নামের বর্ণনা সংক্রান্ত হৃদয়ে ভীতি সঞ্চারকারী কিছু আয়াত জানতে চাই। যাতে তা অর্থসহ মুখস্থ করে আমি ছালাতে পড়তে পারি।
মাক্কী সূরাগুলির প্রায় সবই জাহান্নামের ভীতি সঞ্চারকারী। এজন্য তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা নিয়মিত পাঠ করুন। এছাড়াও নিম্নোক্ত আয়াতগুলি অর্থ সহ পাঠ করুন। যেমন সূরা বাক্বারাহ ২/১৬১-১৬২, ১৬৬-১৬৭, ১৭৪-১৭৫, আলে ইমরান ৩/১০, ১৬২, ১৮৫, ১৯৬-১৯৭, নিসা ৪/১৪, ২৯-৩০, ৫৬, ১৫৬-১৫৮, মায়েদা … Continue reading
জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর সূরা তওবার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, সে হাশরের ময়দানে রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত লাভ করবে এবং দৈনিক ৪১ বার উক্ত আমল করলে স্বপ্নে রাসূল (ছাঃ) কে দেখবে। এ হাদীছ ছহীহ কি?
হুবহু উক্ত অর্থে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। কাছাকাছি অর্থে যে সকল বর্ণনা প্রচলিত আছে, তা ছহীহ নয়। আর সূরা তওবার শেষ আয়াতটি সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করার ব্যাপারে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২৮৬)। আনাস (রাঃ)-এর সাথে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের … Continue reading
আমাদের এখানে একজন আলেম বলেছেন, জান্নাতীদেরকে সত্তর বছর যাবৎ জান্নাতী গান শুনানো হবে। তারপর যথাক্রমে দাঊদ ও মুহাম্মাদ (ছাঃ) গান গাওয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা নিজেই গান গেয়ে শুনাবেন। এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?
এসব নিতান্তই ভিত্তিহীন বানোয়াট বক্তব্য। এমনকি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল জান্নাতবাসীদের কুরআন তেলাওয়াত করে শুনাবেন মর্মের বর্ণনাগুলোর কোনটি যঈফ আবার কোনটি জাল (যঈফুল জামে‘ হা/১৮৩৪, ৪১৫৮; দায়লামী, মীযান ৪/৭৪; যঈফাহ হা/১২৪৮, ৩২৮২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৪১১)। দাউদ (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে … Continue reading
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চেহারা স্বপ্নে দেখলে তার জন্য জাহান্নামের আযাব হারাম হয়ে যাবে। এ মর্মে ছহীহ কোন দলীল আছে কি?
উক্ত বর্ণনাটি ভিত্তিহীন (ফৎওয়া শায়খ বিন বায ৪/৪৪৫, ২৫/১২৬)। এছাড়াও তিরমিযীতে বর্ণিত ‘যে আমাকে বা আমার কোন ছাহাবীকে দেখল, সে মুসলমানকে আগুন স্পর্শ করবে না’ বর্ণনাটিও যঈফ (তিরমিযী হা/৩৮৫৮; যঈফুল জামে‘ হা/৬২৭৭)।
বেদানা জান্নাত থেকে পরাগায়িত ফল এবং তা খেলে ৪০ দিনের জন্য হৃদয় আলোকিত হয় এবং শয়তান নির্বাক হয়ে যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছ সমূহ কি ছহীহ?
উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহ মওযূ‘ বা জাল, যার অধিকাংশ রাফেযী শী‘আদের তৈরী মিথ্যা বর্ণনা মাত্র (যঈফ আত-তারগীব হা/২২১০; যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৯/৩৯২-৯৩; সৈয়ূতী, আল-লাআলি আল-মাছনূ‘ ফিল আহাদীছিল মাওযূ‘আহ ২/১৭৭)।
হা-মীম যুক্ত সাতটি সূরা এগুলির পাঠকারীদের জন্য জাহান্নামের সাতটি দরজায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বক্তব্যটি কোন সত্যতা আছে কি?
উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহের কোনটি জাল, কোনটি যঈফ (বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান হা/২৪৭৯; যঈফাহ হা/৬১৮৩, ৩৫৩৭, ৩৫৩৮,৭০৮১; যঈফুল জামে‘ হা/২৮০২)।
জান্নাতী মহিলাদের হূর কয়টি থাকবে? তাদের হূর কেমন হবে?
‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। তবে জান্নাতী মহিলাদের জন্য অবশ্যই জান্নাতী স্বামী হবেন। যদিও তাদেরকে হূর বলা হবে না। নারীদের প্রতি পুরুষদের অধিক আসক্তির কারণে কুরআনে পুরুষদের জন্য হূরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জান্নাতী নারীদের জন্য … Continue reading
প্রতি হাযারে একজন জান্নাতে যাবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।
হাদীছটির ব্যাখ্যা হাদীছের মধ্যেই রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন ডাক দিয়ে বলবেন হে আদম! নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেন যে, আপনি আপনার সন্তানদের মধ্য হ’তে জাহান্নামীদের বের করে দেন। আদম বলবেন, … Continue reading
ঈমানের ছয়টি মৌলিক বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী মুসলিম কবরপূজা সহ বিভিন্ন প্রকার শিরকী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া ব্যক্তি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে অমুসলিমদের মত চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামের অধিবাসী হবে কি?
: কবরপূজা সহ শিরকে আকবর বা বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করে, আল্লাহ অবশ্যই তার উপরে জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হ’ল জাহান্নাম। … Continue reading
একটি মিথ্যা বললে সাত হাযার বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে’- এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?
এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে মিথ্যা কথা বলা নিঃসন্দেহে কবীরা গুনাহ (হজ্জ ৩০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০, ‘মুনাফিকের আলামত ও কবীরা গোনাহ সমূহ’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম, মিশকাত হা/৫০৩১, ৪৮২৪)। আল্লাহ মিথ্যুকের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করেছেন। যেমন রাসূল … Continue reading
সূরা হূদের ১০৭ ও ১০৮ নং আয়াতে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে, যে পর্যন্ত আসমান ও যমীন স্থায়ী থাকবে। তবে আল্লাহ অন্য কিছু চাইলে ভিন্ন কথা’। উক্ত আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, এক সময় জাহান্নামের শাস্তি থেকে সবাইকে রেহাই দেয়া হবে। চিরস্থায়ীভাবে কাউকে জাহান্নামে থাকতে হবে না। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
উক্ত আয়াত থেকে অনেকে বুঝেছেন যে, জাহান্নামে কাফেরদের শাস্তি স্থায়ী হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি হবে। অর্থাৎ যতদিন আসমান ও যমীন বিদ্যমান থাকবে ততদিন তাদের শাস্তি হবে। উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ আরবদের রীতি ছিল, কোন জিনিসের স্থায়িত্ব … Continue reading