Tag Archives: তাফসীর
আল্লাহ তা‘আলা কয়টি জিনিস নিজের হাতে রেখেছেন এবং সেগুলো কি কি?
আল্লাহ তা‘আলা পাঁচটি জিনিস নিজের হাতে রেখেছেন, যা অন্যকে অবহিত করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই রয়েছে (১) ক্বিয়ামতের জ্ঞান। (২) আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং (৩) তিনিই জানেন মায়ের গর্ভাশয়ে কি আছে। (৪) কেউ জানে না আগামীকাল সে … Continue reading
সূরা দুখানের ৪৪ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আল্লাহর বাণী, ‘নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ পাপীর খাদ্য হবে। এই আয়াতে ‘যাক্কুম’ বলা হয়েছে। অন্যত্র এসেছে যরী‘। কোথাও এসেছে পুঁজ-রক্ত। কুরতুবী বলেন, এই আয়াতগুলির মধ্যে সমন্বয় এই যে, জাহান্নামীদের অনেকগুলি স্তর থাকবে; একেক স্তরের পাপীকে একেক ধরনের নিকৃষ্ট খাদ্য দেওয়া হবে’ (কুরতুবী, … Continue reading
সূরা আহযাব ৫০ আয়াতের ব্যাখ্যা কি? উক্ত আয়াতে কি চাচাতো, মামাতো, খালাতো ও ফুফাতো বোনকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে?
আয়াতটির অনুবাদ : ‘হে নবী! আমরা তোমার জন্য হালাল করেছি ঐসব স্ত্রীদের, যাদেরকে তুমি মোহর দিয়েছ এবং ঐসব দাসীদের, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য গণীমত হিসাবে প্রদান করেছেন। আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন ও খালাতো বোনকে, যারা তোমার … Continue reading
সূরা মুল্ক তেলাওয়াতের ফযীলত জানতে চাই।
সূরা মুল্ক তেলাওয়াতকারীর জন্য কুরআন সুফারিশ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ত্রিশটি আয়াত আছে যেটি তার পাঠকারীর পক্ষে সুফারিশ করবে এবং তার সুফারিশেই তাকে জান্নাত প্রদান করা হবে। সেটি হ’ল সূরা মুল্ক (তাবারাণী আওসাত্ব হা/৩৬৫৪; ছহীহুল জামে‘ … Continue reading
সূরা রহমানের ‘ফাবিআইয়ে আলা-ই রবিবকুমা তুকাযযিবান’ পাঠ করার পর বা শোনার পর প্রতিবার কি ‘লা বি শায়ইন মিন নি‘আমিকা রববানা নুকাযি্যবু ফালাকাল হাম্দ’ বলতে হবে?
রাসূল (ছাঃ) থেকে উক্ত দো‘আটি পাঠের কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (ছাঃ) জিনদের সামনে সূরা রহমান পাঠ করলে উক্ত আয়াতের জওয়াবে জিনেরা প্রতিবার উত্তরটি দিয়েছিল বলে রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে সংবাদ দিয়েছিলেন (তিরমিযী হা/৩২৯১; ছহীহাহ হা/২১৫০)। যা তাঁর অনুমোদনের ইঙ্গিতবাহী … Continue reading
সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত পাঠের কোন ফযীলত আছে কি?
সূরা কাহফের প্রথম বা শেষ দশ আয়াত পাঠের ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত বা শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে নিরাপদ রাখা হবে’ (মুসলিম হা/৮০৯; আহমাদ হা/২৭৫৫৬)। সূরা কাহফ সম্পূর্ণ পাঠেও … Continue reading
জনৈক আলেম বলেন, সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে। অতএব কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালন করতে সক্ষম না হ’লে তাকে ফিদইয়া দিতে হবে না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, উক্ত আয়াতটি ‘মানসূখ’ নয়। বরং এর অর্থ হ’ল, যাদের ছিয়াম রাখার ক্ষমতা নেই যেমন অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, তারা প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন … Continue reading
কতিপয় আলেম বলেন, জান্নাতে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সাথে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার বিবাহ হবে। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, হে আয়েশা তুমি কি জান! জান্নাতে আল্লাহ মুসার বোন কুলছুম, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ও ঈসার মা মারিয়ামের সাথে আমার বিবাহ দিবেন (ইবনু আসাকের, ইবনু কাছীর ৮/১৬৬, সূরা তাহরীম … Continue reading
অনেকে বলেন, সূরা বনু ইসরাঈলের ৮০ আয়াত দ্বারা রাষ্ট্রক্ষমতা প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। এর সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।
উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং এর অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি বল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে (ইবাদতে) প্রবেশ করাও যথার্থভাবে এবং সেখান থেকে বের কর যথার্থভাবে। আর আমাকে তোমার পক্ষ হ’তে সাহায্যকারী শক্তি দাও’ (ইসরা ১৭/৮০)। এটি সর্বাবস্থায় দো‘আ হিসাবে পাঠ … Continue reading
৭৮৬-এর শারঈ ভিত্তি কী?
এর কোন শারঈ কোন ভিত্তি নেই। আরবী হরফসমূহের আবজাদী তথা সংখ্যাতাত্ত্বিক গণনা পদ্ধতিতে ‘বিসমিল্লাহ্’-এর ১৯টি হরফের মান যোগ করে ৭৮৬ বানানো হয়েছে। যেমন- আলিফে ১, বা-তে ২, জীমে ৩, দালে ৪, মীমে ৪০, নূনে ৫০, গাইনে ১০০০ ইত্যাদি। এভাবে ৭৮৬ … Continue reading
জেহরী ছালাতে সূরা ফাতিহার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ সশব্দে তেলাওয়াত করা যাবে কি?
সশব্দে পড়ার কোন ছহীহ দলীল নেই (শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৩/৪৬)। অতএব ‘বিসমিল্লাহ’ নীরবে পড়বে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। প্রকাশ থাকে যে, ‘আঊযুবিল্লাহ’ কেবল ১ম রাক‘আতে পড়বে, বাকী রাক‘আতগুলিতে নয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ পৃঃ ১/১১২; নায়ল পৃঃ ৩/৩৬-৩৯; & বিস্তারিত)। অমনিভাবে ‘বিসমিল্লাহ’সূরা ফাতিহার অংশ হওয়ার পক্ষে কোন ছহীহ দলীল … Continue reading
সূরা রহমানের ১৭ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আয়াতটির অর্থ : তিনি (আল্লাহ) দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের রব (রহমান ৫৫/১৭)। মুজাহিদ বলেন, দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই উদয়াচল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই অস্তাচলকে বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ত্বাবারী ২৩/২৭-২৮; তাফসীরে ইবনু কাছীর)। এখানে দ্বিবচন … Continue reading
সূরা মায়েদাহ ১০৩ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই। এখানে আল্লাহ যে চারটি পশু নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলির পরিচয় কি?
উক্ত আয়াতের অর্থ : আল্লাহ বাহীরাহ, সায়েবাহ, অছীলাহ ও হামী-র প্রচলন করেননি। বরং কাফেররাই এ ব্যাপারে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করেছে মাত্র। আর তাদের অধিকাংশই কোন জ্ঞান রাখে না (মায়েদাহ ৫/১০৩)। আয়াতে বর্ণিত চারটি পরিভাষা চার প্রকারের পশুর নামে প্রচলিত। যেগুলিকে জাহেলী … Continue reading
সূরা ওয়াক্বি‘আহ পাঠ করলে অভাব-অনটন দূর হয় কি?
উক্ত মর্মে বেশ কিছু বর্ণনা রয়েছে, যার কোনটি যঈফ কোনটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৯-২৯১; মিশকাত হা/২১৮১)।
জাহান্নামের বর্ণনা সংক্রান্ত হৃদয়ে ভীতি সঞ্চারকারী কিছু আয়াত জানতে চাই। যাতে তা অর্থসহ মুখস্থ করে আমি ছালাতে পড়তে পারি।
মাক্কী সূরাগুলির প্রায় সবই জাহান্নামের ভীতি সঞ্চারকারী। এজন্য তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা নিয়মিত পাঠ করুন। এছাড়াও নিম্নোক্ত আয়াতগুলি অর্থ সহ পাঠ করুন। যেমন সূরা বাক্বারাহ ২/১৬১-১৬২, ১৬৬-১৬৭, ১৭৪-১৭৫, আলে ইমরান ৩/১০, ১৬২, ১৮৫, ১৯৬-১৯৭, নিসা ৪/১৪, ২৯-৩০, ৫৬, ১৫৬-১৫৮, মায়েদা … Continue reading
সূরা তওবার ১১১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আয়াতটির অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা হত্যা করে অথবা নিহত হয়। এর বিনিময়ে তাদের জন্য (জান্নাত লাভের) সত্য ওয়াদা করা হয়েছে তওরাত, ইনজীল ও … Continue reading
তাফসীরে ইবনে আববাস কতটুকু ছহীহ? উক্ত তাফসীর যদি ছহীহ ও সকলের জন্য যথেষ্ট হয় তাহ’লে অন্যান্য তাফসীর গ্রন্থের প্রয়োজন কি?
ইবনু আববাস (রাঃ) তাফসীর বা অন্য কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। ‘তাফসীর ইবনু আববাস’ নামে যে তাফসীর গ্রন্থ প্রচলিত রয়েছে তা পরবর্তীতে রচিত। তাই তাঁর প্রতি এই তাফসীর গ্রন্থটি সম্বন্ধিত করা যাবে না। ইবনু আববাসের তাফসীর হিসাবে একটি তাফসীর রচনা … Continue reading
তাফসীর ইবনে কাছীর গ্রন্থে আয়াতের ব্যাখ্যায় যে সব হাদীছ বা ছাহাবীদের মতামত উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি সব কি ছহীহ?
সবগুলি ছহীহ নয়। যার কিছু কিছু তিনি নিজেই যঈফ সাব্যস্ত করেছেন। আবার কিছু পরবর্তী মুহাদ্দিছগণ যঈফ প্রমাণ করেছেন।
সূরা ফাতিহার মোট কয়টি নাম রয়েছে। ছহীহ হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
বিভিন্ন হাদীছ, আছার ও বিদ্বানগণের নামকরণের মাধ্যমে অন্যূন ৩০টি নাম বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে ছহীহ হাদীছসমূহে এসেছে ৮টি। যেমন : (১) উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল)। (২) উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল)। (৩) আস-সাব‘উল মাছানী (সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত)। (৪) আল-কুরআনুল ‘আযীম (মহান … Continue reading
সূরা বাক্বারাহ ১১৫ আয়াতের সঠিক অর্থ জানতে চাই।
উক্ত আয়াতের অর্থ হল, ‘আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ’। উল্লেখ্য যে, তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআনের বঙ্গানুবাদে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান’। আল্লাহ … Continue reading
সূরা আলে ইমরান ১০২ নং আয়াতে বর্ণিত মুমিন ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য কি? আর মুহসিন কাকে বলে?
আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা অবশ্যই মুসলিম না হয়ে মরো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। এখানে তিনটি বিষয় এসেছে, মুমিন, মুত্তাক্বী ও মুসলিম। প্রথম দু’টি হৃদয়ে বিশ্বাসগত কমবেশীর সাথে সম্পর্কিত এবং শেষেরটি বাহ্যিক আমলের সাথে … Continue reading
সূরা তওবা ১১ ও ৮৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
সূরা তওবা ১১ আয়াতের অর্থ হ’ল- এক্ষণে যদি ওরা তওবা করে এবং ছালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে, তাহ’লে ওরা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমরা জ্ঞানী লোকদের জন্য আয়াত সমূহ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে থাকি’ (তওবা ৯/১১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) … Continue reading
সূরা বাক্বারাহ ১৪৮ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আয়াতটির অর্থ হ’ল, আর প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে পৃথক ক্বিবলা, যেদিকে তারা উপাসনাকালে মুখ করে থাকে। কাজেই দ্রুত সৎকর্ম সমূহের দিকে এগিয়ে যাও (অর্থাৎ কা‘বামুখী হও)। যেখানেই তোমরা থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল … Continue reading
সূরা তীন পড়া শেষে ‘বালা ওয়া ‘আলা আনা যালিকা মিনাশ শাহিদীন’ পড়তে হবে কি?
এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/১৪২১; আবুদাঊদ হা/৮৮৭; মিশকাত হা/৮৬০, আলবানী, আরনাঊত্ব, সনদ যঈফ)।
শোনা যায় যে, দাঊদ (আঃ) যখন যবূর তেলাওয়াত করতেন, তখন মাছ তাঁর তেলাওয়াত শ্রবণের জন্য সমূদ্রের কিনারায় চলে আসত। এ কথার কোন সত্যতা আছে কি?
‘মাছ সমূদ্রের কিনারায় চলে আসত’- একথা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে জিন, মানুষ, পাখি, চতুষ্পদ জন্তু সমূহ দাউদ (আঃ)-এর তেলাওয়াত শুনার জন্য একত্রিত হ’ত বলে সূত্রবিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে(কাশফুল বায়ান ৩/৪১৬; তাফসীরুল কাবীর ২৬/৩৭৬)। যা গ্রহণযোগ্য নয়। ছহীহ হাদীছ … Continue reading
সূরা ইউসুফের ১০৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আয়াতটির অর্থ হ’ল, তাদের অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে। অথচ সেই সাথে শিরক করে’(ইউসুফ ১২/১০৬)। এর ব্যাখ্যা হ’ল, পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই সৃষ্টিকর্তা হিসাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই সাথে অন্যকে শরীক করে। যেমন মক্কার মুশরিকরা আল্লাহকে বিশ্বাস করত। আসমান-যমীন, পাহাড়-পর্বত সবকিছুর … Continue reading
সূরা কাহফের বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
এ ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পাঠ করলে বা মুখস্থ করলে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকা যায় (মুসলিম, ইবনু হিববান হা/৭৮৬; মিশকাত হা/২১২৬)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফ পাঠ করবে, … Continue reading
সূরা কাওছার -এর তাফসীর
সূরা কাওছার (হাউয কাওছার) সূরা তাকাছুর-এর পরে মক্কায় অবতীর্ণ। সূরা ১০৮, আয়াত ৩, শব্দ ১০, বর্ণ ৪২। بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। (১) নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে ‘কাওছার’ দান করেছি إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ (২) … Continue reading
তিনি সর্বদা কোন না কোন কাজে রত আছেন (রহমান ২৯)। হে মানুষ ও জিন! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্য কর্ম মুক্ত হব (রহমান ৩১)। উক্ত আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন যে, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ ‘আল্লাহ সর্বদা মহান কর্মে ব্যস্ত’ (রহমান ২৯)-এর ব্যাখ্যা এই যে, তিনি সর্বক্ষণ কারু পাপ ক্ষমা করছেন, কারু বিপদ সরিয়ে দিচ্ছেন, কাউকে উচ্চ সম্মানিত করছেন, কাউকে অপদস্থ … Continue reading
সূরা কাফেরূন -এর তাফসীর
সূরা কাফেরূন (ইসলামে অবিশ্বাসীগণ) সূরা মা‘ঊন-এর পরে মক্কায় অবতীর্ণ। সূরা ১০৯, আয়াত ৬, শব্দ ২৭, বর্ণ ৯৫। بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। (১) তুমি বল! হে অবিশ্বাসীগণ! قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (২) আমি … Continue reading
সূরা ক্বাছাছ ৮৮ আয়াত এবং রহমান ২৭ আয়াতে ‘ওয়াজহু’ শব্দ দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে? অনেকে বলেন, ইমাম বুখারী (রহঃ) এর অর্থ ‘আল্লাহর রাজত্ব’ করেছেন। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
অত্র আয়াতে ‘ওয়াজহু’ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার ‘চেহারা’ বুঝানো হয়েছে (ইবনু কাছীর, আয়াতদ্বয়ের তাফসীর দ্রঃ)। উল্লেখ্য যে, অত্র আয়াতের তাফসীরে ইমাম বুখারী (রহঃ) দু’টি কওল উদ্ধৃত করেছেন। একটি হ’ল ملكه ‘তাঁর রাজত্ব’ যা মা‘মার থেকে বর্ণিত হয়েছে। এটা তিনি কেবল একাই … Continue reading
কিয়ামতের নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে, দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে। উক্ত কথার তাৎপর্য কি?
এর অর্থ মেয়ে তার মায়ের উপর খবরদারী করবে এবং তারা চরম অবাধ্য হবে। অন্য বর্ণনায় ربها পুংলিঙ্গ এসেছে। ফলে এর ব্যাখ্যায় অনেকগুলি মত এসেছে। ছাহেবে মির‘আত বলেন, আমাদের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত হ’ল, সন্তানেরা পিতা-মাতার চরম অবাধ্য হবে। সন্তান তার … Continue reading
সূরা নিসা ১১৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যা
অনুবাদ : ‘তারা (মক্কার মুশরিকরা) আল্লাহ্কে ছেড়ে শুধু কতকগুলো দেবীরই পূজা করে, তারা কেবল আল্লাহদ্রোহী শয়তানের পূজা করে (নিসা ১১৭)। এ আয়াতে বর্ণিত ‘ইনাছা’ শব্দের ব্যাখ্যায় ছাহাবী উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, مَعَ كُلِّ صَنَمٍ جِنِّيَّةٌ প্রত্যেক মূর্তির সাথে একজন … Continue reading
সূরা ইখলাছ এর তাফসীর
সূরা ইখলাছ (বিশুদ্ধ করণ) মক্কায় অবতীর্ণ। সূরা ১১২, আয়াত ৪, শব্দ ১৫, বর্ণ ৪৭। بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। (১) বল, তিনি আল্লাহ এক قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (২) আল্লাহ মুখাপেক্ষীহীন اللَّهُ الصَّمَدُ … Continue reading
দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না।
সূরা বনী ইস্রাঈলের ৩১ নং আয়াতের অনুবাদ : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করোনা। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি। নিশ্চয়ই তাদের হত্যা করা মহাপাপ’ (ইসরা ৩১)। জাহেলী যুগে কিছু লোক সন্তানদেরকে বিশেষ করে … Continue reading