Tag Archives: তাশাহহুদ

পাঠ করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ ছালাত আদায় করতে এসে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, তখন ইমাম যেরূপ করে সেও যেন অনুরূপ করে’ (তিরমিযী হা/৫৯১; মিশকাত হা/১১৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১)। এছাড়া রাক‘আত গণ্য না হ’লেও এর মাধ্যমে সে জামা‘আতের … Continue reading →

শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর পূর্বে কেবল তাশাহ্হুদ (আত্তাহিইয়াতু) পাঠ করা আবশ্যক (নাসাঈ হা/১২৭৭; দারাকুৎনী হা/১৩৪৩; ইরওয়া হা/৩১৯)। অন্যান্য দো‘আগুলি পাঠ করা সুন্নাত ও মুস্তাহাব। অতএব কেবল তাশাহহুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নিলে ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। এজন্য কোন সহো সিজদা … Continue reading →

১ম বৈঠকে বাম পা পেতে তার উপরে বসবে ও শেষ বৈঠকে ডান পায়ের তলা দিয়ে বাম পায়ের অগ্রভাগ বের করে দিয়ে বাম নিতম্বের উপরে বসবে ও ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে। এই সময় ডান পায়ের আঙ্গুলী সমূহের অগ্রভাগ ক্বিবলা মুখী … Continue reading →

উভয় তাশাহহুদেই আঙ্গুল নাড়ানো সুন্নাত। এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছসমূহে প্রথম বা শেষ তাশাহহুদ বলে পৃথক করা হয়নি। বরং উভয় তাশাহহুদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২)।

যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) তা নফল ছালাতে পাঠের জন্য বলেছেন। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে সকল কাজে ‘ইস্তেখা-রাহ’ শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন কাজের সংকল্প করবে, তখন ফরয … Continue reading →

দুই সিজদার মাঝের বৈঠকে শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা যাবে না। এব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি ‘শায’ বা বিরল (আহমাদ হা/১৮৮৭৮; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ১/২১৪; ছহীহাহ হা/২২৪৭-এর আলোচনা দ্রঃ)। অতএব এর উপর আমল থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

এব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি ‘শায’ (আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ১/২১৪; ছহীহাহ হা/২২৪৭-এর আলোচনা দ্রঃ)। অতএব তা আমলযোগ্য নয়।

নাড়ানোই সুন্নাত। তবে তা যেন দ্রুত ও দৃষ্টিকটূ না হয়। ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছে তিনি বলেন, فَحَلَّقَ حَلْقَةً ثُمَّ رَفَعَ أُصْبُعَهُ فَرَأَيْتُهُ يُحَرِّكُهَا يَدْعُو بِهَا অর্থাৎ ‘নবী করীম (ছাঃ) হাতের আঙ্গুলসমূহকে গুটিয়ে মুঠ বাঁধলেন। অতঃপর তিনি আঙ্গুল উঁচু করলেন। … Continue reading →

নাড়ানোই সুন্নাত। তবে তা যেন দ্রুত ও দৃষ্টিকটূ না হয়। ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছে তিনি বলেন, فَحَلَّقَ حَلْقَةً ثُمَّ رَفَعَ أُصْبُعَهُ فَرَأَيْتُهُ يُحَرِّكُهَا يَدْعُو بِهَا অর্থাৎ ‘নবী করীম (ছাঃ) হাতের আঙ্গুলসমূহকে গুটিয়ে মুঠ বাঁধলেন। অতঃপর তিনি আঙ্গুল … Continue reading →

শেষ তাশাহহুদে যতটুকু সম্ভব ততটুকু পড়বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারিত হন, তাকে অনুসরণ করার জন্য’ (বুখারী হা/৩৭৮; মিশকাত হা/১১৩৯)। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ ছালাতে উপস্থিত হবে, তখন ইমাম যে অবস্থায় যা করতে থাকবে, সেও যেন তাই করে … Continue reading →

তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে কেবল তাশাহহুদ পড়াই যথেষ্ট। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমাদের উপর তাশাহহুদ ফরয হওয়ার পূর্বে আমরা বলতাম, ‘আসসালামু ‘আলাল্লাহি মিন ইবাদিহী’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা এটা না বলে বরং ‘আত্ত্বাহিইয়াতু… বল’ (নাসাঈ … Continue reading →

তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি রাখতে হবে আঙ্গুলের ইশারার দিকে। রাসূল (ছাঃ) যখন তাশাহহুদে বসতেন, তখন …তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন এবং তাঁর দৃষ্টি আঙ্গুলের ইশারা বরাবর থাকত তার বাইরে যেত না। (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২)। ইমাম নববী … Continue reading →

প্রথম তাশাহহুদ ছুটে গেলে সালামের পূর্বে সহো সিজদা দিলেই যথেষ্ট হবে। আব্দুল্লাহ বিন বুহায়না (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের ছালাতে দু’রাক‘আত পর না বসেই দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর সালামের পূর্বে দু’টি সহো সিজদা দিলেন (বুখারী হা/১২২৫, ইবনু … Continue reading →

ঘটনাটি ভিত্তিহীন। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) মিশকাতের ভাষ্য গ্রন্থ মিরক্বাতুল মাফাতীহে ইবনুল মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার কোন সনদ উল্লেখ করেননি (মিরক্বাত ২/৩৩১ পৃঃ ‘তাশাহহুদ’ অধ্যায়)। আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, এই বর্ণনা সম্পর্কে আমি … Continue reading →

শাক্বীক্ব ইবনু সালামা একজন তাবেঈ। তাঁর থেকে এরূপ দো‘আ সাব্যস্ত হয়েছে এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ ও ওমর (রা) হ’তেও বর্ণিত হয়েছে। সূরা রা‘দের ৩৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এবং বিভিন্ন আক্বীদা সংক্রান্ত গ্রন্থে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি … Continue reading →

মুক্তাদী পুনরায় সম্পূর্ণ ছালাত আদায় করবে। কারণ সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত সম্পূর্ণ হয় (আবুদাঊদ হা/৬১; তিরমিযী হা/৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৫)। উল্লেখ্য, শেষ বৈঠকে বসে ওযূ নষ্ট হ’লে ছালাত হয়ে যাবে মর্মে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে … Continue reading →

এ অবস্থায় সালাম ফিরিয়ে ছালাত সমাপ্ত করলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ ছালাত থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানো আবশ্যক। আর সালামও যদি না ফিরায় তাহলে তার ছালাত হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছালাতের তাকবীর বললে সবকিছু হারাম হয়, আর … Continue reading →

শুধু মাগরিব নয় যেকোন ছালাতে মাসবূক মুছল্লী ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ছালাতে শরীক হবে এবং যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ করবে (বুখারী হা/ ৬৩৬; মুসলিম হা/৬০২)। দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে তাশাহ্হুদ পড়তে হয়। অতএব শেষ তাশাহ্হুদ পাওয়ার কারণে … Continue reading →

সুস্থিরভাবে বসে মাটিতে ভর দিয়ে উঠতে হবে। মালেক বিন হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ)-কে এভাবে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, তিনি ছালাতের মধ্যে যখন বেজোড় রাক’আতে পৌঁছতেন, তখন সিজদা থেকে উঠে সুস্থিরভাবে না বসে দাঁড়াতেন না (বুখারী হা/৮২৩; মিশকাত … Continue reading →

ছালাতের সময় সিজদার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখাই সুন্নাত (হাকেম হা/১৭৬১, আলবানী, ছিফাতু ছালা-তিন্নবী পৃঃ ৬৯)। তবে তাশাহহুদের সময় দৃষ্টি থাকবে ইশারার দিকে (আবুদাঊদ হা/৯৯০, মিশকাত হা/৯১২)। ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিনা কারণে আশেপাশে দৃষ্টি দিলে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, … Continue reading →