Tag Archives: নাম
কোন মেয়ের নাম যুনায়রাহ রাখা যাবে কী?
যুনায়রাহ-এর মূল উচ্চারণ যুন্নায়রাহ। যা আরবী শব্দ। এর অর্থ দীর্ঘ ও বিশালদেহী নারী, ছোট মাছি, ছোট পাথর ইত্যাদি (তাহযীবুল লুগাত ১৩/১৩১ প্রভৃতি)। যিন্নীরাহ নামে একজন মহিলা ছাহাবী ছিলেন যাকে আবুবকর (রাঃ) দাসত্ব থেকে মুক্ত করেন (ইবনু হাজার, আল–ইছাবাহ ৮/১৫০; যাহাবী, … Continue reading
হালীমা, সালমা, রহীমা ইত্যাদি নাম রাখার বিধান কী? এগুলি আল্লাহর গুণবাচক নাম কি?
আল্লাহর নামসমূহ সর্বদা পুংলিঙ্গ। স্ত্রীলিঙ্গে আল্লাহর কোন নাম নেই। সুতরাং এসব নাম রাখায় কোন বাধা নেই। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তা‘আলার গুণবাচক নাম সমূহ দু’ভাগে বিভক্ত। (১) যেগুলো কেবল আল্লাহর সাথে প্রযোজ্য যেমন কুদ্দূস (মহাপবিত্র), আহাদ (এক), ছামাদ (অমুখাপেক্ষী), জাববার (মহাশক্তিধর), … Continue reading
কুমিল্লার মুরাদনগরে আল্লাহর ৯৯টি নাম সম্বলিত একটি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে আল্লাহর নাম লেখা জায়েয হবে কি?
যে মুমিন আসমাউল হুসনার ৯৯টি নাম অর্থ অনুধাবন সহ পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্যের সাথে এবং আল্লাহর উপর অটুট নির্ভরতার সাথে মুখস্ত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (বুখারী হা/৭৩৯২; মুসলিম হা/২৬৭৭; ফাৎহুল বারী ১১/২২৬-২২৭)। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, পিলার নির্মাণ … Continue reading
নামের শেষে আলী, মুরতাযা, হাসান, হোসাইন, ইত্যাদি যুক্ত করে নাম রাখলে গুনাহ হবে কি?
উপরোক্ত সবগুলি নামই সুন্দর অর্থ বহন করে। সুতরাং তা রাখায় কোন দোষ নেই। তবে শী‘আদের আক্বীদা অনুযায়ী রোগমুক্তি ও বিশেষ ফযীলতের আশায় এগুলি রাখা হ’লে তা শিরক হবে। শী‘আরা বলে থাকে, আমার জন্য পাঁচজন রয়েছেন যাদের মাধ্যমে আমি সকল দুরারোগ্য … Continue reading
নারীদের নাম হিসাবে কানীয ফাতেমা রাখা যাবে কি? এর অর্থ কি?
কানীয শব্দটি ফার্সী (كنيز)। যার অর্থ বাঁদী, দাসী প্রভৃতি। সুতরাং আল্লাহর বান্দী অর্থে কানীয নাম রাখা যায়। তবে সম্বন্ধবাচক অর্থে কানীয ফাতেমা নাম থেকে যদি ফাতেমা (রাঃ)-এর বাঁদী উদ্দেশ্য নেওয়া হয়, তাহ’লে এই নাম রাখা বৈধ নয়। উল্লেখ্য যে, শী‘আ … Continue reading
সন্তানের নাম ইয়াস, আয়াস বা আইয়াশ হাসান রাখা যাবে কি?
কেবল ইয়াস (إياس) বা আয়াস নাম রাখায় কোন দোষ নেই। ‘হাসান’ যোগ করা ঠিক নয়। একাধিক ছাহাবীর নাম ‘ইয়াস’ ছিল। যদিও এর অর্থ ‘হতাশা বা নৈরাশ্য’ (বুখারী হা/৩৯৯১; আবুদাউদ হা/২১৪৬; হাকেম হা/৫৯০১)। অনুরূপভাবে আইয়াশ নাম রাখাতেও কোন বাধা নেই। কারণ আইয়াশ … Continue reading
ইসমে আ‘যম বলতে কি বুঝায়? বিস্তারিত জানতে চাই।
ইসমে আ‘যম হ’ল আল্লাহর মহান নাম। ইসমে আ‘যমকে কেন্দ্র করে ১৪টি মত রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হ’ল ইসমে আযম হ’ল ‘আল্লাহ’ ও তাঁর সকল গুণবাচক নাম। আর এগুলোর মধ্যে যে নামগুলোতে তাওহীদের ঘোষণা রয়েছে সেগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আল হাইয়ুল … Continue reading
স্ত্রীর নামের শেষে স্বামীর নাম লাগানো যাবে কি?
স্ত্রীর নামের শেষে স্বামীর নাম যোগ করার কোন প্রমাণ শরী‘আতে নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ বা কোন মহিলা ছাহাবী নিজেদের নামের সাথে স্বামীর নাম যোগ করেছেন বলে জানা যায় না। অনুরূপভাবে ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন প্রচলন দেখা যায় না। বরং আধুনিককালে … Continue reading
কোন মানুষের নাম রববানী রাখা যাবে কি? এছাড়া কাউকে নাম হিসাবে রাববী বলে ডাকা যাবে কি?
‘রববানী’ নাম রাখাতে কোন বাধা নেই। কারণ ‘রববানী’ অর্থ আল্লাহওয়ালা। তবে ‘গোলাম রববানী’ নাম রাখা যাবে না। কেননা এর অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহওয়ালা ব্যক্তির গোলাম। আর রাববী নয়, বরং ফযলে রাববী নামে ডাকা যাবে। যার অর্থ আমার রবের অনুগ্রহ।
নামের শেষে অনেকে জিহাদী, ইউসুফী, ফারুকী, ছিদ্দীক্বী, আনছারী, কুরায়শী যুক্ত করেন, যা তার মূল নামের অংশ নয়। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত?
পরবর্তীতে এরূপ পদবী না রাখা উচিৎ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক নেক আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত হা/৪৭৫৬)। তবে জন্মের পর পিতা–মাতা যদি এরূপ নাম রাখেন, তাহ’লে তাতে কোন … Continue reading
আমাদের ইমাম ছাহেব খুৎবায় বলেন, আব্দুর রহমান, আব্দুল খালেক এসব নামে আল্লাহর গুণাবলী প্রকাশ পাওয়ায় এরূপ নাম রাখা জায়েয নয়। একথা সঠিক কি?
এরূপ কথা ভিত্তিহীন। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হ’ল আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান (মুসলিম হা/২১৩২; মিশকাত হা/৪৭৫২)। অতএব ‘আবদ’ যুক্ত নাম রাখাই উত্তম। এতে বান্দার বার বার স্মরণ হবে যে, সে আল্লাহর দাস। তবে কেবল রহমান বা খালেক … Continue reading
নামের শেষে ভুইয়া, চৌধুরী, পন্ডিত, হাওলাদার, মজুমদার ইত্যাদি যোগ করা কি জাহেলিয়াতের অন্তর্ভুক্ত?
এগুলি উপমহাদেশে সুলতানী আমল, মোগল ও বৃটিশ ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন পরিচিতি মূলক পদবী মাত্র। এরূপ পদবী নামের শেষে যোগ করায় কোন বাধা নেই। তবে সর্বদা নিম্নোক্ত হাদীছটি স্মরণ রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘লোকেরা যেন তাদের বাপ-দাদার নামে গর্ব করা … Continue reading
মুসলিম ২১৪২ নং হাদীছ থেকে বুঝা যায় আত্ম প্রশংসামূলক নাম রাখাকে রাসূল (ছাঃ) অপসন্দ করতেন। এক্ষণে অধিক পরহেযগার, দানশীল ইত্যাদি অর্থবোধক নাম রাখা যাবে কি?
উক্ত হাদীছ অনুযায়ী জনৈকা মহিলার নাম ছিল বাররাহ, যার অর্থ গুনাহমুক্ত। রাসূল (ছাঃ) তা পরিবর্তন করে যয়নব (সুন্দর ও সুগন্ধিযুক্ত বৃক্ষ) রেখে বললেন, তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক সৎ আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত … Continue reading
পিতা-মাতা অমুসলিমদের ন্যায় ইংরেজী নাম রেখেছেন। যদিও তার অর্থ ভালো। আরবী ব্যতীত এরূপ নাম রাখা যাবে কি? যদি না রাখা যায় সেজন্য সন্তান গুনাহগার হবে কি? এক্ষণে তার করণীয় কি?
মুসলিম স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্যই আরবীতে সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭-৯)। অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শিরক-বিদ‘আতযুক্ত নাম বা ডাকনাম রাখা যাবে না। তাছাড়া অনারবদের জন্য আরবী ভাষায় নাম রাখা … Continue reading
সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে শরী‘আতের কোন দিক-নির্দেশনা আছে কি? ‘বিপ্লব’ নামের ব্যাপারে কোন পরামর্শ আছে কি?
সন্তানদের সুন্দর নাম রাখার ব্যাপারে শরী‘আতে দিক নির্দেশনা আছে। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হলো আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান (বুখারী হা/৪৯৪৯)। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭-৯)। অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যশীল … Continue reading