Tag Archives: বিবাহ
বিবাহের ক্ষেত্রে ছেলের চেয়ে মেয়ের বয়স বেশী হ’লে শারঈ কোন বিধি-নিষেধ আছে কি?
এটি দোষণীয় নয়। রাসূল (ছাঃ) ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী বিধবা খাদীজা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। অন্যদিকে ৬ বছরের আয়েশার সাথে ৫৪ বছরের রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ে হয়েছিল (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৭৬৩-৬৪ পৃ.)। অতএব ছেলে বা মেয়ে পরস্পরের বয়সে … Continue reading
দশ বছরের সন্তান থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামী তাকে তালাক দেয়। উক্ত মহিলাও তার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চায় না। এমতাবস্থায় পরবর্তীতে সম্পর্ক করা ঐ ব্যক্তির সাথে বিবাহ করায় কোন বাধা আছে কি?
বাধা নেই। ওলীর অনুমতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে। আবুবকর (রাঃ)-এর আমলে দু’জন নারী-পুরুষ যেনায় লিপ্ত হ’লে তাদের একশ’ বেত্রাঘাত করে বিবাহ দিয়ে দেওয়া হয়। ইবনু আববাস (রাঃ)-কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, প্রথমটি ছিল ব্যভিচার আর দ্বিতীয়টি … Continue reading
বিবাহের সম্মতি জ্ঞাপন করতে গিয়ে অনেকে কবূল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বলেন। এটা সঠিক হবে কি?
সরাসরি সম্মতিসূচক শব্দ ব্যবহার করাই উত্তম। তবে নিয়তের সাথে ইঙ্গিতবহ বাক্য যেমন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললেও বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৩৬)।
মামা মারা যাওয়ায় তিন বৎসর পরে জনৈক ব্যক্তি স্বীয় মামীকে বিবাহ করেছে। উক্ত বিবাহ বৈধ হয়েছে কি?
মামার মৃত্যুর পরে মামীকে বিবাহ করা শরী‘আত সম্মত। কারণ আল্লাহ যে চৌদ্দজন মহিলাকে বিবাহ করা হারাম করেছেন, মামী তার অন্তর্ভুক্ত নয় (নিসা ২৩)। বরং তিনি যদি সত্যিকার অর্থে সহমর্মী হয়ে এরূপ বিধবা নারীকে বিবাহ করে থাকেন, তবে তিনি বরং প্রভূত নেকীর … Continue reading
এম.বি.বি.এস. পাস জনৈকা শিক্ষার্থী সম্প্রতি দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে এবং সে একজন দ্বীনদার ছেলেকে বিবাহ করতে আগ্রহী। কিন্তু তার পরিবার দ্বীনদার না হওয়ায় কোনক্রমেই তাতে রাযী নয়। এমতাবস্থায় মেয়েটির করণীয় কি? সে কি পিতার পরিবর্তে অন্যকে অলী হিসাবে গ্রহণ করে বিবাহ সম্পন্ন করতে পারবে?
পিতার বর্তমানে অন্য কাউকে অলী হিসাবে গ্রহণ করে বিবাহ জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) এরূপ বিবাহকে বাতিল (৩ বার) বলেছেন (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তিনি বলেন, ‘কোন মহিলা নিজে অপর কোন মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না এবং কোন মহিলা নিজেকে বিবাহ দিতে … Continue reading
জনৈকা মহিলার বিবাহের পরে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে স্বামী হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। এক্ষণে সে কি ইদ্দত পালন করবে এবং মোহরানা পাবে?
এক্ষেত্রে স্ত্রীকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে এবং স্ত্রী মোহরানাসহ স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে। কারণ সে শরী‘আত সম্মতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছে (তিরমিযী হা/১১৪৫; আবুদাউদ হা/২১১৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২০৭)। ঐ স্ত্রী তার স্বামীর বাড়ীতে বা পিতার বাড়ীতে … Continue reading
অনেকে বলে থাকেন, মুহাররম মাসে বিবাহ -শাদী করা অশুভ ও বড় ক্ষতির কারণ। একথার সত্য কি?
মুহাররম মাসে বিবাহ-শাদীতে কোন ক্ষতি বা অশুভ লক্ষণ নেই। বরং শী‘আ রাফেযীরা এই মাসে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদত উপলক্ষে শোক প্রকাশার্থে বিবাহ-শাদী হারাম বা অপসন্দনীয় ঘোষণা করেছে। এটা সুস্পষ্ট অপসংস্কৃতি এবং সুন্নাহ বিরোধী ধারণা। যেমন জাহেলী যুগে শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদী করাকে … Continue reading
আমি দশ বছর পূর্বে স্বামী থেকে একটি কন্যাসহ তালাকপ্রাপ্তা হয়েছি। পরে আমি অন্যত্র বিবাহিতা হই। আমার দ্বিতীয় স্বামী আমার মেয়েকে প্রতিপালন করে। এক্ষণে আমার মেয়ের বিয়েতে আমি বা তার পালক পিতা কি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে? পূর্বের স্বামী দাবী করলে করণীয় কী?
বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবক পিতাই হবেন। যদিও স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হন। পালক পিতা নিজ পিতার স্থলাভিষিক্ত হ’তে পারবেন না, যদিও তিনি লালন-পালন করে থাকেন। এক্ষণে মূল পিতা যদি মেয়ের অলী হ’তে ইচ্ছুক হন, তবে তিনিই অভিভাবক হবেন। আর যদি ইচ্ছুক না … Continue reading
আমি আমার প্রথম স্বামীর সাথে ২০ বছর সংসার করার পর আমাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। সেখানে আমার একটি সন্তানও আছে। পরবর্তীতে যার সাথে আমার বিবাহ হয়, সে ১ বছরের মাথায় আমাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৮-১০ বছর পার হয়েছে। এক্ষণে আমি প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলে আমার করণীয় কি?
নিখোঁজ স্বামীর জন্য স্ত্রী চার বৎসর অপেক্ষা করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারে। ওমর (রাঃ) এরূপ ফায়ছালা দিয়েছিলেন (বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৫; মুহাল্লা ৯/৩১৬ পৃ.)। প্রশ্ন অনুযায়ী স্বামী হারিয়ে যাওয়ার পর ৮-১০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অতএব উক্ত স্ত্রী আদালতের অনুমতিক্রমে নতুন মোহরের বিনিময়ে … Continue reading
এক মেয়ে পরিবারের অমতে বিবাহ করার প্রস্ত্ততি নেয়। বিবাহের পূর্বমুহূর্তে পিতা উপায়ান্তর না দেখে তাকে মোবাইলে বিবাহ করার অনুমতি প্রদান করে। এক্ষণে উক্ত বিবাহ কি অলীর অনুমতি সাপেক্ষে হয়েছে বলে ধরে নেয়া যাবে, না কি নতুনভাবে বিয়ে পড়াতে হবে?
উক্ত বিবাহ অলীর অনুমতি সাপেক্ষেই হয়েছে। কারণ পিতা অসন্তুষ্ট থাকলেও অনুমতি দিয়েছেন। যেকোন মাধ্যমে অনুমতি দিলে তা রাযী থাকারই লক্ষণ।
ছেলের পরিবারের উপস্থিতিতে একটি বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে মেয়ের পিতা, ভাইসহ পরিবারের কেউ এতে রাযী ছিল না। কিন্তু মেয়ের চাচা অলী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বিবাহ দেয়। এক্ষণে এ বিয়ে কি বৈধ হয়েছে? পিতার বর্তমানে অন্য কেউ অলী হ’তে পারে কি?
উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। কারণ পিতার উপস্থিতিতে অন্য কেউ অলী হ’তে পারে না। আর অলী ছাড়া বিবাহ বাতিল হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাউদ, সনদ … Continue reading
আলী (রাঃ) কি যয়নাব বিনতে জাহাশ ও উম্মে সালামা (রাঃ)-কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন? তাদের জন্য তার থেকে উত্তম স্বামী পাওয়ার ব্যাপারে দো‘আ করেছিলেন এবং নিজের জন্যও তাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রীর দো‘আ করেছিলেন। ফলে ফাতেমা (রাঃ)-এর সাথে তাঁর বিবাহ হয়?
উক্ত ঘটনার কোন ভিত্তি নেই। বরং যয়নব বিনতে জাহাশ যায়েদ বিন হারেছার নিকট থেকে তালাকপ্রাপ্তা হ’লে রাসূল (ছাঃ) তাকে বিয়ে করেন (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৩৫৬০)। আবু সালামা (রাঃ) মৃত্যুকালে দো‘আ করেছিলেন যেন উম্মে সালামা তার মৃত্যুর পর তার অপেক্ষা অধিক উত্তম … Continue reading
আলী (রা:)-এর সাথে ফাতেমা (রাঃ)-এর বিবাহের পর মুহাম্মাদ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে একাধিক বিবাহ করতে নিষেধ করেছিলেন, যাতে ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধা না হয়। এটা কি সত্য?
ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধার জন্য নয় বরং প্রস্তাবিত নারীরা আবু জাহলের বংশধর ছিল বলে রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বিবাহের অনুমতি দেননি। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, বনু হিশাম ইবনু মুগীরা আলীর কাছে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু … Continue reading
জনৈক মৃত ব্যক্তি ধার্মিক হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে অনেক অবৈধ সম্পদের মালিক ছিলেন। তার মেয়েরাও ধার্মিক। এক্ষণে তার কোন মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয হবে কি?
এরূপ মেয়েদের বিবাহ করায় কোন দোষ নেই। বরং ধার্মিক মনে করলে তাদেরকেই বিবাহ করতে হবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। অবৈধ সম্পদ উপার্জনের জন্য পিতা দায়ী হবেন, সন্তানরা নয় (আন‘আম ৬/১৬৪)।
বিবাহের সময় বরকে কবুল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে বলা হয়। বরও মুখে কবুল না বলে কবুলের নিয়তে মুখে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলে। অভিভাবক ও সাক্ষীরা বরের সম্মতি ধরতে পেরেছে। এক্ষণে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি? নাকি পুনরায় বিবাহের প্রয়োজন আছে?
উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। কারণ কবুলের ইঙ্গিতবহ যেকোন শব্দ দ্বারা সম্মতি জানালেই বিবাহ সংঘটিত হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৮২-৮৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/৩৮)।
আমাদের এলাকায় বিবাহে মোহরানা বাবদ দুই লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি মেয়ের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত এক লাখ টাকা দিতে হয়। এই অতিরিক্ত এক লাখের ব্যাপারে করণীয় কি?
ইসলামী শরী‘আতে কনের নিরাপত্তা বাবদ টাকা দেওয়ার কোন বিধান নেই। এটি কনে পক্ষ থেকে বর পক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়া যুলুম, যা অবশ্যই বাতিল যোগ্য। ইসলামে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার জন্যই মোহরানা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরিশোধ করা ছেলের জন্য অপরিহার্য। … Continue reading
আমি একটি মেয়ের দ্বীনদারী দেখে দু’বছর পরে তাকে বিবাহের ব্যাপারে তার পিতার সাথে ওয়াদাবদ্ধ হই। তার সাথে ফোনে নিয়মিত কথা হ’ত। এখন মেয়েটির মধ্যে পূর্বের ন্যায় দ্বীনদারী দেখতে পাচ্ছি না এবং আমার পরিবারও তাকে পসন্দ করছে না। তাছাড়া তাকে বিবাহ করলে আমার সকল আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। সেজন্য আমি এখন উক্ত মেয়েকে বিবাহে রাযী নই। এক্ষণে আমার জন্য করণীয় কি?
অঙ্গীকার রক্ষা করা মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে’ (ইসরা ১৭/৩৪)। এক্ষণে প্রশ্নমতে যদি মেয়েটির মধ্যে যথার্থই দ্বীনদারী না থাকে, তাহ’লে উক্ত অঙ্গীকার রক্ষা করা যরূরী নয় এবং এতে পাপ হবে … Continue reading
বিবাহের জন্য একাধিক মেয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া জায়েয হবে কি? নাকি সরাসরি দেখার ক্ষেত্রে একজনের বেশী দেখা যাবে না?
প্রয়োজন সাপেক্ষে বিয়ের জন্য একাধিক মেয়ে দেখায় কোন বাধা নেই। নিয়ম হ’ল, বিবাহের উদ্দেশ্যে প্রথমে মেয়েকে না জানিয়ে দেখে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব দিবে তখন তার প্রতি দৃষ্টিদানে কোন দোষ নেই যদি কেবল … Continue reading
কোন অক্ষম সুস্থ মানুষ কি হিজড়াকে বিবাহ করতে পারবে?
কোন সুস্থ মানুষের জন্য কোন হিজড়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হবে না। এমনকি যৌন মিলনে অক্ষম পুরুষের জন্য কোন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াও বৈধ নয় (বুখারী হা/১৯০৫; মুসলিম হা/১৪০০; মিশকাত হা/৩০৮০)। উল্লেখ্য যে, হিজড়া দুই প্রকার। (১) … Continue reading
আমাদের মসজিদের ইমাম এক মেয়েকে তার পিতার অনুমতি ছাড়াই তার বোনের বাড়ীতে কিছু দিন রেখে বিয়ে করে। তার বিয়ে কি সিদ্ধ হয়েছে? না হ’লে করণীয় কি? তার সন্তানরা কি হালাল সন্তান হবে নাকি জারজ হবে?
উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ পিতার অসম্মতিতে মেয়ের বিবাহ বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাউদ, ইবনে মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩১৩১ ও ৩১৩০ ‘বিবাহে … Continue reading
রাসূল (ছাঃ) উম্মে হানীকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার পরেও উম্মে হানী কেন বিবাহে রাযী হননি?
আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তাঁর চাচাত বোন উম্মে হানীকে দুই বার বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন একবার নবুঅত লাভের পূর্বে জাহেলী যুগে তার পিতা আবু তালেবকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিকটাত্মীয়দের বাইরে আত্মীয় বানানোর জন্য রাসূলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান … Continue reading
উভয় পরিবারের অভিভাবকগণের উপস্থিতিতে আমাদের বিবাহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে গত এক বছর পূর্বে। কিন্তু ছেলের চাকুরীর ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় আরো দেড় বছর বিবাহের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তার পরিবারও অপেক্ষা করার ব্যাপারে অনড়। এমতাবস্থায় আমার বড় ভাই, বোন ও দুলাভাইদের উপস্থিতিতে কিছুদিন পূর্বে গোপনে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে উভয়ের পিতা-মাতা উপস্থিত ছিলেন না। তবে আমার মা এটা জানেন। এক্ষণে এ বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি?
উক্ত বিবাহ বিধিসম্মত হয়নি। কারণ মেয়ের অলী তথা পিতা এ বিষয়ে অবহিত নন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অলী ব্যতীত বিবাহ হয় না’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, ‘দু’জন সাক্ষী এবং একজন জ্ঞানসম্পন্ন অলী ব্যতীত বিবাহ হয় না’ (ইরওয়াউল গালীল হা/১৮৪৪)। এক্ষণে পিতার … Continue reading
স্বামী থাকার পরও পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ করে। সে প্রথম স্বামীর বাসাতেই থাকে। যদি সে প্রথম স্বামীর কাছেই থাকতে চায় তাহলে কি করতে হবে?
একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অন্যের সাথে বিবাহ হয় না। তাই বর্ণিত নারীর দ্বিতীয় বিবাহ কোন বিবাহই নয়। অতএব পরপুরুষের সাথে সে যা কিছু করেছে পুরোটাই ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। ইসলামী বিধান মতে এই মহাপাপের জন্য সে রজমের শাস্তিযোগ্য অপরাধী হয়েছে। … Continue reading
সূরা আহযাব ৫০ আয়াতের ব্যাখ্যা কি? উক্ত আয়াতে কি চাচাতো, মামাতো, খালাতো ও ফুফাতো বোনকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে?
আয়াতটির অনুবাদ : ‘হে নবী! আমরা তোমার জন্য হালাল করেছি ঐসব স্ত্রীদের, যাদেরকে তুমি মোহর দিয়েছ এবং ঐসব দাসীদের, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য গণীমত হিসাবে প্রদান করেছেন। আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন ও খালাতো বোনকে, যারা তোমার … Continue reading
মসজিদে বিবাহের ওয়ালীমার অনুষ্ঠান করা যাবে কি?
মসজিদে বিবাহের অনুষ্ঠান বা ওয়ালীমা করা যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৮/১১০-১১১)। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ আয-যুবাইদী (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে বসে রুটি ও গোশত খেতাম (ইবনু মাজাহ হা/৩৩০০; মিশকাত হা/৪২৭৫)। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় কঠোরভাবে বর্জনীয়। আর সেগুলো হ’ল- ১. … Continue reading
পাত্রের পিতা-মাতা উভয়ে মৃত। অভিভাবক হওয়ার মত কেউ নেই। এক্ষণে পাত্রীর পিতা-মাতার সম্মতি ও ব্যবস্থাপনায় বিবাহ সম্পন্ন করা যাবে কি?
বিবাহের জন্য পাত্রের অভিভাবক থাকা শর্ত নয়, যদিও পাত্রের পিতা-মাতার সম্মতি থাকা উত্তম। কিন্তু পাত্রীর অভিভাবকের সম্মতি থাকা অপরিহার্য (আবুদাঊদ হা/২০৮৫; মিশকাত হা/৩১৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। সুতরাং প্রশ্নমতে পাত্রীর পিতার ব্যবস্থাপনায় উক্ত বিবাহে কোন বাধা নেই।
মুসনাদ আহমাদ ২৫০৮৭ নং হাদীছে বলা হয়েছে যে, নারীরা বিবাহের ব্যাপারে একক অধিকার রাখে। এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।
হাদীছটির অনুবাদ হ’ল, বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক যুবতী নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, আমার পিতা তার ভ্রাতুষ্পুত্রকে তার দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য আমাকে তার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিষয়টি মেয়েটির এখতিয়ারে … Continue reading
আমি বিবাহের সময় মোহরানা দিতে পারিনি। কয়েক বছর পর আমার স্ত্রীর জন্য একটি স্বর্ণের গহনা তৈরী করে তাকে দেই। কিন্তু দেওয়ার সময় মোহরানা হিসাবে দেওয়ার নিয়ত ছিল না। পরে তাকে বলি এটি তোমার মোহরানা একটি অংশ। এক্ষণে নিয়ত পরিবর্তন করে মোহরানা পরিশোধ করা যাবে কী?
স্ত্রী রাযী থাকলে তা মোহরানা হিসাবেই গণ্য হবে। নিয়ত পরিবর্তন মূখ্য বিষয় নয়; বরং স্ত্রীর সম্মতি থাকাটিই মুখ্য বিষয়। কারণ মোহরানার মালিক স্ত্রী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে … Continue reading
আমার বন্ধু বিবাহের সময় কবরপুজার শিরকে পুরোপুরি লিপ্ত ছিল। অন্যদিকে তার স্ত্রী বিশুদ্ধ আক্বীদাসম্পন্ন ছিল। পরবর্তী সে শিরকী কার্যক্রম থেকে ফিরে আসে। বিবাহের সময় ভ্রষ্ট আক্বীদাসম্পন্ন হওয়ায় এখন পুনরায় বিবাহ পড়াতে হবে কি?
নতুনভাবে বিবাহের প্রয়োজন নেই। কারণ ইতিপূর্বে তিনি অজ্ঞতাবশে এটি করেছিলেন। যা তওবার কারণে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অবিচার করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে’ (নিসা … Continue reading
আমার ও আমার স্ত্রীর মাঝে বিবাহপূর্ব প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে আমরা নিজে নিজে বিয়ে করি মেয়ের পিতার বিনা অনুমতিতে। তখন আমি ছহীহ হাদীছ ও ছহীহ দ্বীনও জানতাম না। পারিবারিক এবং নিজেদের কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারণে আমি তাকে তালাকও দিয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি মেয়ে সন্তান আছে। আমার প্রশ্নটা যেহেতু ওলীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে বাতিল, তাহ’লে আমি যে তাকে তালাক দিয়েছি এই তালাক কি গ্রহণযোগ্য হবে? আমি কি তাকে ফিরিয়ে নিতে পারব আবার তার ওলীর উপস্থিতিতে বিয়ের মাধ্যমে? না সে আমার জন্য হারাম? আমি আল্লাহকে ও তাঁর আযাবকে ভয় পাই। আমি কোন সুবিধা পাবার জন্য প্রশ্নটা করিনি। সঠিক ফৎওয়া জেনে সঠিক পথ অবলম্বন করতে চাই। যাতে করে আমার পক্ষ থেকে তার উপর যুলুম না হয়।
ওলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ হ’লেও সেটি বিবাহের অনুরূপই (শিবহে নিকাহ) ছিল। সুতরাং যদি তাকে তিন তুহ্রে তিন তালাক দেওয়া হয়ে থাকে, তাহ’লে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন উপায় নেই। ইবনু কুদামা বলেন, মতপার্থক্যপূর্ণ বিবাহের ক্ষেত্রে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। যেমন … Continue reading
বিয়েতে দেনমোহরের টাকা বাকী রাখলে কি ঐ বিয়ে ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে? দেনমোহরের সঠিক নিয়ম ব্যাখ্যাসহ জানতে চাই।
মোহর বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ (নিসা ৪/৪)। আর বিবাহের মোহর স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ প্রদান করাই উত্তম। তবে কারো নগদ অর্থ না থাকলে পরে দিতে পারে। এমনকি বিবাহের পূর্বে মোহর নির্ধারণ না করেই বিবাহ সম্পন্ন করতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) একজন … Continue reading
মেয়ের অভিভাবক অশিক্ষিত হওয়ায় ছেলে পক্ষের জনৈক ব্যক্তিকে উকীল বানিয়ে বিবাহ পড়ানো হয়েছে। উক্ত বিবাহ সঠিক হয়েছে কি?
মেয়ের পিতার পক্ষ থেকে উকীল নিযুক্ত করায় উক্ত বিবাহ সঠিক হয়েছে। মেয়ের পিতা যে কাউকে ওলী নিযুক্ত করে বিবাহ পড়ানোর ব্যবস্থা করলে তা জায়েয (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৭/১৯; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/৩৭, ৯৩)। অতএব এজন্য দ্বিতীয়বার বিবাহ পড়ানোর প্রয়োজন নেই। তবে … Continue reading
আক্দ হয়েছে মিলন হয়নি এমন স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার মাকে বিবাহ করা যাবে কি?
আক্দ হওয়ার অর্থই হ’ল বিবাহ হওয়া। সুতরাং মিলন হৌক বা না হৌক উক্ত স্ত্রীর মাকে কোন অবস্থায় বিবাহ করা যাবে না। কেননা বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর মা স্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, … Continue reading
জনৈক মহিলার প্রথম স্বামী একটি পুত্র সন্তান রেখে মারা যান। তার দ্বিতীয় স্বামীর পূর্বের স্ত্রীর গর্ভজাত একটি মেয়ে আছে। এক্ষণে এই দুই ছেলে মেয়ের বিবাহ জায়েয হবে কি?
এদের মধ্যে বিবাহ জায়েয। কুরআনে যে ১৪ জন মাহরাম নারীর কথা বলা হয়েছে এরা তাদের অর্ন্তভুক্ত নয় (নিসা ৪/২৩)। ইবনু কুদামা বলেন, পিতার স্ত্রীর অন্য স্বামীর কন্যারা হারাম নয়। পিতার কন্যারা এজন্য হারাম যে তারা পিতার ঔরসজাত। কিন্তু তাদের মেয়েদের হারাম … Continue reading
আমরা জানি যে, পিতার অনুমতি ছাড়া নারীদের বিবাহ বাতিল হয়ে যায়। এক্ষণে মুওয়াত্ত্বা মালিকের (হা/২০৪০) একটি হাদীছ হ’তে জানা যায় যে, আয়েশা (রাঃ) তাঁর আপন ভাইয়ের মেয়ে হাফছাকে পিতার অনুমতি ছাড়াই নিজ দায়িত্বে বিবাহ দিয়েছেন। মেয়ের পিতা সেসময় সিরিয়া সফরে থাকায় তিনি বিষয়টি পরে জানতে পারেন। এক্ষণে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ। কিন্তু এর ব্যাখ্যা ভুল হয়েছে। আছারটির দু’টি অর্থ হ’তে পারে। ১. আয়েশা (রাঃ) উক্ত বিবাহে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত ও নিকটাত্মীয় হওয়ার কারণে বর্ণনাকারী ওলী হওয়ার বিষয়টি তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন। ঈসা বিন দীনার … Continue reading