Tag Archives: রোগ/রোগী
মৃতপ্রায় রোগীকে লাইফ সাপোর্টে জীবিত রাখতে প্রচুর খরচ হয়। এক্ষণে খরচের ভয়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করে দিলে গুনাহগার হ’তে হবে কি?
কেবলমাত্র খরচের ভয়ে রোগীর স্বজনগণ এরূপ করলে তারা গুনাহগার হবেন। কারণ যতক্ষণ তার জীবন থাকবে, ততক্ষণ সে জীবিত বলে ধর্তব্য হবে। তবে চিকিৎসক যদি তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হন অথবা স্বজনগণ সবদিক থেকে একেবারে নিরুপায় হয়ে যান, সেক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতি … Continue reading
মুমূর্ষু রোগীর নিকটে কী কী কাজ করা শরী‘আতসম্মত?
মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি কর্তব্য হ’ল তাকে তালক্বীন করানো। তালক্বীন (التلقين) অর্থ কথা বুঝানো বা দ্রুত মুখস্থ করিয়ে দেওয়া। মৃত্যুর আলামত দেখা গেলে রোগীর শিয়রে বসে তাকে কালেমায়ে ত্বাইয়িবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ পড়ানো উচিত (মুসলিম হা/৯১৭ (২); মিশকাত হা/১৬১৬)। যাতে সে দ্রুত … Continue reading
আমি পাইল্সের রোগী হওয়ায় পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হয়। এতে আমার ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে কি?
ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ রক্ত বের হওয়া ছিয়াম ভঙ্গের কোন কারণ নয়। আর রাসূল (ছাঃ) ছিয়ামরত অবস্থায় তাঁর দেহে শিঙ্গা লাগিয়েছেন (বুখারী হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/২০০২)।
এমন কোন নিয়মিত আমল বা দো‘আ আছে কি, যা নিয়মিত পাঠ করলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে নানা রোগ-ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে?
এমর্মে বিভিন্ন দো‘আ রয়েছে। বিশেষ করে কোন মারাত্মক রোগীকে দেখে তা পাঠ করলে, সেই রোগ তার হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে লোক কোন বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, ‘আল-হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহী ওয়া ফায্যালানী ‘আলা কাছীরিম্ মিম্মান খালাক্বা তাফ্যীলা’ (সকল … Continue reading
নারীদের ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বের হ’লে তা কি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে এবং এ অবস্থায় ছিয়াম পালন করা যাবে কি?
এটি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে না। বরং প্রদর রোগ। অতএব ছিয়াম পালনে কোন বাধা নেই। ‘হায়েয’ বলা হয় প্রবহমান রক্তকে, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবিরতভাবে নির্গত হয়। কিন্তু প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টি তা নয়। উছায়মীন বলেন, এ অবস্থায় তার ছিয়াম সঠিক। … Continue reading
অসুস্থতার কারণে আমার মেয়ের হাতে গাছ বা গাছের পাতা বিসমিল্লাহ বলে একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এতে কিছু পড়া হয়নি। এটা শিরক হবে কি?
আল্লাহর উপর ভরসা রেখে গাছ বা গাছের পাতা ঔষধ হিসাবে দেহের যেকোন স্থানে লাগানো বা সেবন করায় কোন বাধা নেই। তবে আরোগ্য লাভের ধারণায় শরীরে কোন কিছু ঝুলালে তা শিরক হবে। চাই তা তাবীয হোক বা অন্য কিছু হোক। রাসূল … Continue reading
আমাদের দেশে ঔষধের গায়ে লেখা থাকে যে, ‘শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য’। এক্ষণে দারিদ্রের কারণে যেসব গরীব রোগী ডাক্তার দেখাতে সক্ষম হয় না, তাদেরকে রোগের বিবরণ শুনে ঔষধ দেওয়া দোকানদারের জন্য জায়েয হবে কি?
কোন রোগের ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার যোগ্যতা থাকলেই কেবল সেই রোগের চিকিৎসা দেওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করে বলেন, যে চিকিৎসক চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ছাড়াই কারো চিকিৎসা করে এবং এর ফলে সে দুর্ভোগে পতিত হয়, তাহ’লে সে এজন্য … Continue reading
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছোঁয়াচে কোন রোগ নেই। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, বসন্ত, চোখ ওঠা ইত্যাদি ছোঁয়াচে রোগ। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় কি?
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তাহ’লে পালের মধ্যে একটা চর্মরোগী উট আসলে বাকীগুলি চর্মরোগী হয় … Continue reading