Tag Archives: সালাম

কবর দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় মাইয়েত যেমন তার স্বজনদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায় (বুখারী হা/১৩৩৮; মুসলিম হা/২৮৭০; মিশকাত হা/১২৬), তেমনি কবরবাসীর উদ্দেশ্যে সালাম দিলে ফেরেশতাগণ তাদের রূহে সালাম পৌঁছে দেন এবং তারাও সালামের জবাব দেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ … Continue reading →

ইমামের পিছে পিছে সালাম ফিরাবে। রাসূলুললাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। তিনি বলেন, হে লোকসকল! আমি তোমাদের ইমাম। সুতরাং তোমরা রুকূ, সিজদা, ক্বিয়াম ও সালাম কোন কিছুই আমার পূর্বে করবে না’ (মুসলিম … Continue reading →

ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে কিংবা উদাসীনভাবে ছালাত আদায় করে ও তার প্রকৃত হেফাযত করে না, … Continue reading →

সালামের শব্দগুলো উচ্চারণ করতে করতে মুখ ডানে এবং বামে ঘুরাতে হবে। কেননা সালামই মুখ ঘুরানোর কারণ। অতএব সালাম সহকারেই ডানে-বামে মুখ ঘুরাতে হবে, মুখ পূর্ণভাবে ঘুরিয়ে তারপর সালাম বলা সঠিক পদ্ধতি নয় (মুগনী ১/৩৯৮; আল-ইনছাফ ২/৮২-৮৩; ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ৮/০২)।

খাওয়ার সময় সালাম বিনিময় বা প্রয়োজনীয় আলাপ করা যায়। যেসব কথা সাধারণ অবস্থায় জায়েয, তা খাদ্য গ্রহণের সময়ও জায়েয। ‘খাদ্যগ্রহণের সময় কোন কথা বা কোন সালাম দেওয়া যাবে না’ মর্মে যেকথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তার কোন ভিত্তি নেই। রাসূল (ছাঃ) … Continue reading →

এসব নেশাদার দ্রব্য পান করা হারাম (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬৫২)। তাই এগুলি যারা খান, তারা কবীরা গোনাহগার। কিন্তু কাফির নন। অতএব তাদের পিছনে ছালাত হবে এবং তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, তোমার রুকূকারীর পিছনে রুকূ কর (বাক্বারাহ ২/৪৩)। আর পরস্পরে সালাম বিনিময় … Continue reading →

হ্যাঁ। কেননা সে তাশাহহুদ থেকে দাঁড়িয়েছে। আর তাশাহহুদ থেকে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে প্রথমে রাফউল ইয়াদায়েন করাই শরী‘আতের নির্দেশনা (বুখারী হা/৭৩৯; ওছায়মীন, ইসলাম কিউএ ফতওয়া নং ২১৫০৬)।

বাম দিকের সালামে স্বর নীচু করতে হবে মর্মে শরী‘আতে কোন নির্দেশনা নেই। বরং জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাত-এর বৈঠকে হাটুর ওপর হাত রেখে ডানে বামে তোমাদের ভাইদের (মুখ ফিরিয়ে) ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (মুসলিম হা/৪৩১; … Continue reading →

না। বরং এসময় উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে এসে উত্তর দিতে হবে। এটাই রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত (বুখারী হা/৩৩৭; আবুদাঊদ হা/১৭; মিশকাত হা/৪৬৭, ৫৩৫)।

সালাফে ছালেহীনের মাঝে ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতীদের সালাম না দেওয়ার প্রচলন ছিল (দ্র:সম্ভাষণ বিষয়ে)। যেমন ছাহাবী জাবের (রাঃ) ফাসেক ও অত্যাচারী উমাইয়া গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে সালাম দেননি (আল–আদাবুল মুফরাদ হা/১০২৫)। জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদ (রহঃ)-কে রাফেযী প্রতিবেশীর প্রতি সালাম প্রদানের … Continue reading →

এরূপ আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীন থেকে প্রমাণিত নয়। তবে মসজিদে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১)। আর কোন মজলিসে উপস্থিত হওয়া ও বের হওয়া উভয়ক্ষেত্রে সালাম দেওয়া যাবে (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০০৭,১০০৮; মিশকাত হা/৪৬৬০; ছহীহাহ … Continue reading →

এ মর্মে বর্ণিত আছারটি যঈফ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯৭৬, সনদ যঈফ)। পা ছুঁয়ে সালাম করা শরী‘আত পরিপন্থী কাজ এবং এটি বিধর্মীদের রীতি-নীতির অনুকরণ মাত্র। বরং সাক্ষাতে কেবল সালাম বিনিময় করবে। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের … Continue reading →

মুছাফাহা (المصافحة) শব্দটি বাবে مفاعلة -এর ক্রিয়ামূল। এর আভিধানিক অর্থ, الإفضاء بصفحة اليد إلي صفحة اليد অর্থাৎ এক হাতের তালুর সাথে অন্য হাতের তালুকে অাঁকড়িয়ে ধরা (ইবনু হাজার, ফৎহুলবারী ১১/৫৪)। আরবী ভাষার কোন অভিধানে চার হাতের সংযোগকে মুছাফাহা বলে অভিহিত করা হয়নি। আর দুই দুই করে চার … Continue reading →

স্বাভাবিক অবস্থায় হাত উঁচু করে ইশারায় সালাম দেয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহুদী-নাছারাদের ন্যায় সালাম বিনিময় করো না। তারা হাত, মাথা এবং ইশারার মাধ্যমে সালাম বিনিময় করে থাকে (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ছহীহাহ হা/১৭৮৩)।  তবে দূরবর্তিতার কারণে অথবা কেউ … Continue reading →